প্রক্টর কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, সিন্ডিকেট সভায় গৃহিত সিদ্ধাš— অমান্য করে বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে প্রশাসনিক কর্মকান্ডে বাধা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি শৃংখলা বিনষ্টের অভিযোগে ওই ২৯ জন শিক্ষার্থীকে শোকজ করা হয়। ওই ২৯ জনের মধ্যে ১১ জন ছাত্রী ও বাকিরা ছাত্র। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আগামী তিন দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য সময় বেধে দিয়ে এতে বলা হয় ওই সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে শোকজ করার খবরে তাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা অবিলম্বে এ শোকজ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় তারা কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাকৃবির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের উপর আরোপ করা অতিরিক্ত সেমিস্টার ফি বাতিলের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছে সকল অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এরপরও তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা গত রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যš— টানা তিন দিন ভিসির বাসভবন অবরোধ করে রাখে। পরে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে মুক্ত হন ভিসি। কিন্তু এরপরও বর্ধিত সেমিস্টার ফি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না করায় গতকাল রবিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। ওই সময় প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে প্রক্টর ও শিক্ষকরা আন্দোলনরতদের হুমকি দেয় বলে ওই সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছিল।