সব কথায় মাথা নাড়ুন: যখন কোন মেয়ে আপনার সঙ্গে অনবরত কথা বলে চলেছেন, তার সব কথায় ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক ভঙ্গিতে মাথা নাড়তে থাকুন। এতে আপনার খুব বেশি ক্যালোরি খরচ হবে না। কিন্তু, আপনি ঠিকই রেহাই পাবেন। কারণ, মাথা নাড়তে নাড়তে খুব সহজেই আপনি নিজের কাজগুলো সারতে পারবেন। প্রয়োজনে অন্য কোন বিষয় নিয়েও ভাবতে পারবেন। আর, যেহেতু আপনি ক্রমাগত মাথা নেড়ে চলেছেন, তাই আপনার সঙ্গিনী হয়তো সেটা ধরতেই পারবেন না। তিনি ভাববেন আপনি তার কথাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে, একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন। যদি সঙ্গিনী কোন অপছন্দের কথা শেয়ার করেন ও তিনি চান আপনি ‘না’ বলুন, তখন অবশ্যই ‘না’ সূচকভাবেই মাথা নাড়বেন। তা না হলে বিপদ আপনারই। তাই একটু মনোযোগ তো দিতেই হবে। বাকি সময় ‘হ্যাঁ’ সূচকভাবে মাথা নাড়লেই চলবে।
মাঝে-মধ্যে হ্যাঁ বা না বলুন: সঙ্গিনী যখন কথার ঘোড়া ছুটাতে শুরু করেছেন, তখন কমপক্ষে প্রতি ১৫ মিনিটে একবার হ্যাঁ বা না বলুন। এর বেশি কিছু বলার কোন দরকার নেই। শুধু এটুকু বুঝুন, কথাটা কোন দিকে মোড় নিচ্ছে। সেভাবেই বেছে নিন ‘হ্যাঁ’, নাকি ‘না’ বলবেন। এটা সেই পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য, যাদের স্ত্রীরা সব কথায় ঘাড় বা মাথা নেড়ে সায় দেয়াকে একেবারে অপছন্দ করেন। তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করুন, যে আপনি খুবই মনোযোগী শ্রোতা।
ওয়াশরুমে চলে যান: আপনার সঙ্গিনী হয়তো একতরফা কথা বলেই চলেছেন। এর মধ্যে হঠাৎ আপনি নিজেকে বাঁচাতে সেখান থেকে উঠে গিয়ে টেলিফোনে কাউকে কল করলেন বা টেলিভিশন চালালেন। সাবধান! এমনটা না করাই বুদ্ধিমান পুরুষের কাজ। সোজা ওয়াশরুম বা বাথরুমে ঢুকে পড়–ন। আপনি তাকে সুন্দরভাবে বলুন, ‘দুঃখিত, আমাকে ওয়াশরুমে যেতে হবে’। বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন কোন নারী আপনাকে এটা করতে বাধা দেবেন না। ওয়াশরুমে গিয়ে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিন। নতুন শক্তি সঞ্চারিত করে আবার বেরিয়ে আসুন। সঙ্গিনীর পরের অংশ শুনতে প্রস্তুত আপনি। পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে কষ্ট হবে না আপনার।