বুধবার বিকেল ৩ টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ এ ধর্মঘট আহবান করে।
শিক্ষকরা ঘোষণা করেছে, দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকাণ্ড পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী শিক্ষকদের অনিদির্ষ্টকালের ধর্মঘটের বিষয়টি নিশ্চত করেন।
এর আগে শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে আলচনায় বসেন উপাচার্য ড এ কে এম নুর-উন-নবী । কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসু না হওয়াই শিক্ষকও কর্মচারীদের তোপের মুখে পড়েন এবং নিজ রুমে প্রায় চার ঘন্টা অবরোদ্ধ অবস্থায় থাকেন । পরে প্রশাসনের সমঝতায় ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুক্তি পান ।
আজও সুনির্দিষ্ট কিছু দাবি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে আলোচনা করতে যান শিক্ষক নেতারা। কিন্তু উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নূর-উন নবী এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাফ বলে দেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরীকমিশনের আওতাভুক্ত ছাড়া বাকিদের বেতন-ভাতা দিতে পারবো না।’
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের অভিযোগ, তিন মাস ধরে তারা বেতন পাচ্ছেন না। এমনকি ঈদে তাদের বোনাস পর্যন্ত দেয়া হয়নি। বেতন না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটছে তাদের।
শিক্ষকরা আরও অভিযোগ করেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুর উন নবী ঈদের পর বকেয়া বেতন পরিশোধ করাসহ সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন করার কথা বললেও বুধবার দুপুর পর্যন্ত সে ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। ফলে বাধ্য হয়ে তারা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছেন।