তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ভিশন ২০২১ পৌঁছতে হলে বেতারকে আরও লোকবল ও পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে নতুন মাত্রা দিয়ে আধুনিকরন করতে হবে । রাজধানীর আগারগাঁওয়ে গতকাল বুধবার সকালে বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে এর আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন । তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির যুগে দেশের সর্বস্তরের জনগণ বেতার ছাড়া ও মোবাইলে এফ এম এর মাধ্যমে বিভিন্ন রকম শিক্ষা, বিনোদন ও উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠান শুনছে। বেতারকে জনপ্রিয় করতে বর্তমানে দেশে ১০ কিলোওয়াটের দশটা এফ এম চালু করা হয়েছে। আরও ১০ টি চালুর প্রক্রিয়া চলছে। ‘যতবড় গনমাধ্যমাই থাকুক না কেন বেতারের কার্যক্রম বর্তমানে প্রশংসার দাবি রাখে’ উলে�খ করে মন্ত্রী বলেন , বেতার একটি প্রাচীন ও উলে�খযোগ্য শক্তিশালী গনমাধ্যম। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিকরা দেশের হতাশাগ্রস্থ অসহায় মুক্তিকামী মানুষকে সাহস যুগিয়েছিল। তিনি বলেন , অতীতের সরকার বেতারকে সবসময় অবহেলা করেছে। কিন্তু মহাজোট সরকার একে পুনরুজ্জীবিত করেছে। জনগণের দোড়গোঁড়ায় একে জনপ্রিয় করেছে। দেশের দূর্যোগপ্রবণ এলাকা বেতার সম্প্রচারের আওতাধীন। দূর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় বেতারের ভূমিকা অনন্য।র্যালীটি বাংলাদেশ বেতার, জাতীয় বেতার ভবন, শেরেবাংলা নগর বেতারভবনের সামনে থেকে আগারগাঁও বাসস্ট্যান্ড মোড় ঘুরে বেতার ভবনে আসে। এতে বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারী বাণিজ্যিক এফএম বেতার এবং কমিউনিটি রেডিওসহ এনজিও প্রতিনিধি, বেতারকর্মী ও কলাকুশলীরা অংশগ্রহণ করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক কাজী আক্তার উদ্দিন আহমেদ, সহকারী মহাপরিচালক (প্রোগ্রাম) সালাউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বেতার কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক আমানুল�াহ আসুদ হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ । বাংলাদেশ বেতার ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় । গতবছর ৩ নভেম্বর ইউনেস্কোর সাধারণ সভায় ‘বিশ্ব বেতার দিবস’ ঘোষণার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বেতারের মাধ্যমের গুরুত্ব সর্ম্পকে সচেতনতা বৃদ্ধি, মানুষকে বেতারের মাধ্যমে তথ্যে প্রবেশাধিকার দেয়া এবং সম্প্রচারকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক জোরদার করা। বিশ্বের শতকরা ৯৫ ভাগ এলাকা বেতার সম্প্রচারের আওতাধীন ।