ষ্টাফ রির্পোটার, ঢাকাঃ ন্যাশনাল লেবার পার্টি-এনএলপি’র সৌজন্যে বাংলাদেশ জাতীয় জোট-বিএনএ’র চেয়ারম্যান সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও যোগাযোগমন্ত্রী বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা’র প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদাকে বাঙ্গালী জাতীর মানবাধিকার জনক উপাধীতে ভুষিত করে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছেন ন্যাশনাল লেবার পার্টি-এনএলপি’র চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ জিয়া।
২ জানুয়ারী ২০১৫ শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি সাগর-রুনী মিলানায়তনে ন্যাশনাল লেবার পার্টি-এনএলপি আয়োজিত “৫ জানুয়ারী গণতন্ত্রের বিজয় ও গণতন্ত্রের হত্যা দিবস বিতর্ক; আমাদের করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী এবং যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা। নাজমুল হুদাকে কেন বাঙ্গালী জাতীর মানবাধিকার জনক উপাধী দেয়া হচ্ছে এ বিষয়ে অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য প্রদান করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি এনএলপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ জিয়া।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ে মানবাধিকার বিষয়ে ব্যারিষ্টার হুদা এককভাবে নিরলস সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছেন। আপনারা জানেন, তিনি ১৯৭৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা বিশেষ করে রাজনীতিতে মানবাধিকার এ বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে চলেছেন। নিজ পদ কে গুরুত্ব না দিয়ে মানুষ ও মানবতাকে গুরুত্ব দেবার জন্য তাকে মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করতে হয়। তিনি সেই ব্যক্তি যিনি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দুই নেত্রীকে এক টেবিলে বসার ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আল্টিমেটাম দিয়ে দল ছেড়েছিলেন। সেই ব্যক্তিই একমাত্র একটি জাতীয় মানের ও জাতীয় গুরুত্বের পদবী প্রাপ্ত হতে পারেন। তাই আমরা ন্যাশনাল লেবার পার্টি-এনএলপি’র পক্ষ থেকে তাকে বাঙ্গালী জাতীর মানবাধিকার জনক উপাধীতে ভূষিত করেছি। আজ থেকে তিনি বাঙ্গালী জাতীর কাছে মানবাধিকার জনক হিসেবে আর্বিভূত হলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা বলেন, দুই দলের বিমাতাসুলভ আচরণের কারণে জনগন যেখানে দেশের মালিক হবার কথা সেখানে জনগণ দেশের সকল অক্ষমতার মালিক হিসেবে প্রতিয়মান হয়েছে। তাই আগামী ৭ জানুয়ারী তারিখ আমরা দেশের বৃহৎ একটি বিকল্প রাজনৈতিক জোট বাংলাদেশ জাতীয় জোট-বিএনএ’র আনুষ্ঠানিক ঘোষনা করতে যাচ্ছি। তাই এই জোটে সকল রাজনৈতিক দলকে শরীক হয়ে দেশের জন্য কাজ করার আহবান জানাচ্ছি।
মানবাধিকার জনক উপাধীতে এনএলপি’র ঘোষনা উপলক্ষ্যে তিনি বলেন, মানুষের জন্য কাজ করলে যে, তার সঠিক মূল্যায়ন হয়। আমি আজ তা সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছি। আমি চাইব আগামী রাজনীতিতে আমার সর্বাত্বক চেতনা দিয়ে মানবাধিকার সমাজে প্রচার ও প্রসার ঘটিয়ে দেশে একটি মানবাধিকারসম্মত মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা উপহার দিব। এনএলপি’র এ মহান উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি-বিআইপি চেয়ারম্যান মোঃ শহীদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামীলীগ-বাকশাল চেয়ারম্যান মাহবুব আলম, বাংলাদেশ গণসংগ্রাম পরিষদ এর সমন্বয়ক মোহাম্মদ মাসুম, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন-বিজিএ’র চেয়ারম্যান জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি’র চেয়ারম্যান ডা. মোঃ সম্্রাট চিশতী, বাংলাদেশ জনশক্তি পার্টি-বিজেএসপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক শিকদার, বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি-বিএমপি’র যুগ্ম আহবায়ক পরশ ভাসানী এবং মোঃ আক্কাস আলী খান, ন্যাশনাল লেবার পার্টি-এনএলপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শিহাব উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মোঃ আনিছুর রহমান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মোতাসিম বিল্লাহ, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস আনসারী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও ন্যাশনাল লেবার ট্রেড ইউনিয়ন-এনএলটিইউ’র সভাপতি মোঃ জোবায়ের সরকার, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সোহাগ, সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আহমেদ মামুন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হালিম হিমসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।