[সংগ্রামমুখর এক জীবনের গল্প]]
১৯৮৮ সালের ২ জুলাই ২৭ বছর বয়সে বিশেষ বিবাহ আইনে (স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট) জানবাজ খান নামের এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন সুস্মিতা। পরিবারের অমতে জানবাজের সঙ্গে চলে যান আফগানিস্তানে। জানবাজ পরে কলকাতায় ফিরে এসে ব্যবসা শুরু করলেও তালেবানদের ফতোয়ার কারণে আফগানিস্তানেই থেকে যেতে হয় সুস্মিতাকে। আফগানিস্তানে তালেবান শাসন শুরুর পরই বন্ধ হয়ে যায় বই, টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র। নিষেধাজ্ঞা জারি হয় মেয়েদের বাড়ির বাইরে বের হওয়ার ওপর। এ সময় পেশায় নার্স সুস্মিতা তালেবানদের অগোচরে একটি ক্লিনিক খোলেন। ১৯৯৫ সালে তালেবানরা তা জানতে পারলেই সুস্মিতার ওপর খড়্গ নেমে আসে। ওই বছরের ২২ জুলাই সুস্মিতার নামে ফতোয়া জারি করে তালেবা নরা।সুস্মিতা এর পরই লুকিয়ে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে চলে যান। যোগাযোগ করেন ভারতীয় দূতাবাসে। কিন্তু সেখান থেকে উল্টো তাঁকে তালেবানদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর আবার তিনি পালাবার চেষ্টা করলে ধরা পড়েন। তৃতীয়বারের মতো তিনি পালাতে চেষ্টা করেন। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে কলকাতা ফেরার জন্য তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট এই লেখিকা কলকাতায় ফেরেন। ১৯৯৭ সালে নিজের জীবনের নানা অভিজ্ঞতার অধ্যায় নিয়ে লেখেন ‘কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ’। বইটি পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তাঁর এই বই নিয়ে তৈরি হয়েছে ছবি। ‘এসকেপ ফ্রম তালেবান’ তাঁর উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি একটি ছবি। ২০০৩ সালে নির্মিত এই ছবিতে অভিনয় করেন মনীষা কৈরালা ,তাঃ-০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩