অনলাইন ডেস্ক ,জি নিউজ ঃ-ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুনা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী ৫৫৬টি লাশ ভাসতে বা আর্বজনায় আটকে থাকতে দেখেছে। বিবিসি জানায়, লাশগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।দাতব্য সংস্থা অ্যাকশন এইড বলছে, ওই এলাকায় ৫ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। এর আগে শুক্রববারই উত্তরাখণ্ডের হিন্দু তীর্থস্থান হরিদ্বারে গঙ্গা নদী থেকে বন্যায় নিহত আরো ৪০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা রাজিব স্বরূপ। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে আটকা পড়া মানুষদের অধিকাংশই তীর্থযাত্রী বলে জানা গেছে।সপ্তাহকাল ধরে চলা বর্ষণের মাত্রা কিছুটা কমে এলেও সেতু ও সড়ক ভেঙে রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকা দুর্গম হয়ে পড়েছে। ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার তৎপরতা। অঞ্চলটিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান কেদারনাথ ও আশপাশের এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।গণমাধ্যমের খবরে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিণ্ডে বলেছেন, গত কয়েকদিনে উদ্ধার করা হয়েছে ৩৩ হাজারেরও বেশি তীর্থযাত্রীকে।কিন্তু ৫০ হাজার মানুষ এখনো আটকা পড়ে আছে। বন্যার কারণে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশসহ প্রতিবেশী দেশ নেপালেও মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নজিরবিহীন এ বন্যাকে ‘সহস্রাব্দের ভয়াবহ মর্মান্তিক ঘটনা’ উল্লেখ করে উত্তরাখণ্ডের কৃষিমন্ত্রী হারাক সিং রাওয়াট পিটিআই’কে বলেছেন, “এ বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কেদারনাথ এলাকায় অবকাঠামোর যে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে অন্তত পাঁচ বছর লাগবে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্গতদের খাবার, পানি ও অন্যান্য সহায়তা দিতে ৪০টি ত্রাণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়া আরেক তীর্থস্থান বদ্রিনাথেও একটি নিয়ন্ত্রনকক্ষ খোলা হয়েছে। খবর বিবিসির ।