ভাষা শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক: একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম  প্রহরে জাতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন।
রাত ১২টা ১টি মিনিটে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রধানমন্ত্রী এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করেন। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুন সুর।

পরে শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য ও দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  প্রধানমন্ত্রী ফুল দেয়ার পর শহীদ মিনারে বাংলা ফন্ট ‘আমার বর্ণমালা’ উদ্বোধন করেন।
সরকারি উদ্যোগে  ‘আমার বর্ণমালা’ শীর্ষক ইউনিকোডের ফন্ট তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সবখানে একই বানান রীতি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর পর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্পিকার আবদুল হামিদ। এরপর ফুল দেয় উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিলের পর মিছিল আসতে থাকে শহীদ মিনারে। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ এই গানের সঙ্গে এবার সবার কণ্ঠেই স্লোগান ছিল- ‘যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই’, ‘ভাষাশহীদদের বাংলায়, রাজাকারদের ঠাঁই নেই’।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া এবার শহীদ মিনারে উপস্থিত হতে পারেননি। অনিবার্যকারণ বশত রাষ্ট্রপতির কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। অন্যদিকে বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে থাকায় তিনি আসতে পারেননি।

তবে প্রথম প্রহরেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।

রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে ওয়ার্কার্স পার্টি, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের নেতৃত্বে কমিউনিস্ট পার্টি, খালেকুজ্জামানের নেতৃত্বে বাসদ, দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে সাম্যবাদী দল প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি ফুল দেয়।
সম্পাদনা/শাবানা মন্ডল /০২.২৫ঘ /২১ ফেব্রয়ারি

Exit mobile version