মঙ্গলবার হরতাল ১৮, ১৯শে মার্চেও হরতালের হুমকি

ঢাকা প্রতিনিধি, জি নিউজ: বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে পুলিশ আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে ১৮ই এবং ১৯শে মার্চ হরতাল পালনের ডাক দিয়েছে।

বিএনপি এর আগেই মঙ্গলবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের পালন করবে বলে ঘোষণা করেছিল।

সোমবার রাতে ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটি এবং ১৮-দলীয় জোটের নেতাদের এক বৈঠক শেষে অতিরিক্ত দু’দিনের এই হরতালের ঘোষণা করা হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, একই সঙ্গে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১৯শে মার্চ বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল স্থগিতও করা হয়েছে।

বিএনপির তরফে এই ঘোষণার আগে সোমবার সন্ধ্যেবেলায় পুলিশ দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দুজন কেন্দ্রীয় নেতা — জয়নাল আবদীন ফারুক এবং সাদেক হোসেন খোকাকে আটক করে।

বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের, বিএনপির ভাষায়, গণহত্যার প্রতিবাদে ১৮-দলীয় জোট সোমবার একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল।

সেখানে উপস্থিত জিনিউজ প্রতিনিধি, জানাচ্ছেন, এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়া পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল।

সমাবেশের শেষ বক্তা হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য শুরুর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দূরে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।

বিস্ফোরণের পর প্রচন্ড হুড়োহুড়ি করে সমাবেশ থেকে লোকজনকে ছুটাছুটি করতে দেখা যায়।  এক পর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি করা শুরু করে।

এসময় বিএনপি অফিসের সামনের তাদের কর্মীরা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। লম্বা সময় ধরে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

বিএনপি পুরো পরিস্থিতির জন্য পুলিশকে দায়ী করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তায় থাকবেন বলে জানান বিএনপির আরেকজন কর্মী।

এসময় বিএনপির কর্মীরা আশপাশের ভবন এবং দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেয়।

পুলিশ এক পর্যায়ে দুই পাশ থেকে ধীরে ধীরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে অবস্থান নেয়।

পুলিশ পুরো পরিস্থিতির জন্য বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সহ-পুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান বলেন, “তারা নিজেরাই এই বোমাগুলোর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তারা আগামিকাল হরতাল ঘোষণার জন্যই এ কাজটি করেছে।এর কিছুক্ষন পরেই পুলিশ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে তল্লাশি চালায় এবং বিএনপি মহাসচিবসহ বেশ ক’জন সিনিয়র নেতাকে আটক করে নিয়ে যায়।এদিকে, ককটেল বিস্ফোরণ ও অন্যদিকে পুলিশের ফাঁকা গুলির কারণে পল্টন, বিজয় নগর, মতিঝিলসহ আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

Exit mobile version