স্ট্রোকের কবলে পড়তে পারে যে কেউ
স্ট্রোকের লক্ষণ ও ঝুঁকি
মাথা ঘুরানো, হাটতে অসুবিধা হওয়া, চোখে ঘোলাটে দেখা এসব অসুবিধা দেখা দেয় স্ট্রোক হওয়ার আগে৷ ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত মোটা, উচ্চরক্তচাপ, ধূমপান, মদ্যপান, স্ট্রেস ইত্যাদি স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়৷
স্ট্রোকের কবলে পড়তে পারে যে কেউ
একেবারেই দেরি নয়
যে-কোনো জায়গায় যে-কোনো সময় মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে৷ তখন দেরি না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে তা না হলে হয়তো দেরি হয়ে যেতে পারে৷
স্ট্রোকের কবলে পড়তে পারে যে কেউ
জার্মানিতে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা
প্রতি বছর জার্মানিতে ২৬০,০০০ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে৷ মৃত্যুর কারণ হিসাবে স্ট্রোক রয়েছে তৃতীয় স্থানে৷ সারা বিশ্বেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে৷
স্ট্রোকের কবলে পড়তে পারে যে কেউ
গবেষণা
আর সে কারণেই স্ট্রোক নিয়ে গবেষণা জরুরি হয়ে পড়েছে৷ জার্মানিতে গত ২০ বছরে স্ট্রোক থেরাপি বেশ শক্তিশালী হয়েছে, বলেন হামবুর্গের আসক্লেপিয়োস ক্লিনিকের প্রফেসর ইওয়াখিম রোটার৷ স্ট্রোকে আক্রান্ত পুরুষদের গড় বয়স ৭০৷ মেয়েদের ৭৫৷ শিশু কিশোররাও স্ট্রোকের কবলে পড়তে পারে৷
স্ট্রোকের কবলে পড়তে পারে যে কেউ
শিশুরাও এর বাইরে নয়
জার্মানিতে প্রতিবছর ৩০০ শিশু আক্রান্ত হয় স্ট্রোকে৷ এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ আবার নবজাতক শিশু৷ এমনকি মাতৃগর্ভেও আক্রান্ত হতে পারে বাচ্চা৷ ‘অটোইমিউন’ বা বংশগত কারণে এমনটি হতে পারে৷ বাচ্চাদের বেলায় অনেক সময় কয়েক মাস বা কয়েক বছর পর মস্তিষ্কের ক্ষতিটা বোঝা যায়৷
স্ট্রোকের কবলে পড়তে পারে যে কেউ
নিয়মমতো চলতে হবে
স্ট্রোক হলে মানুষ এক নিমিষে অথর্ব হয়ে যেতে পারে৷ তাদের হতে হয় পরের উপর নির্ভরশীল৷ খাওয়া দাওয়া বুঝে শুনে করতে হয়৷ করতে হয় নিয়মিত ব্যায়াম৷ এড়িয়ে চলতে হয় বাড়তি স্ট্রেস৷ কারণ যদি কারও দ্বিতীয়বার স্ট্রোক হয় তাহলে পরিণতি মারাত্মক হতে পারে৷ কাজেই প্রথমবার স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়৷ নিয়মিত ব্লাডপ্রেশার মাপা প্রয়োজন এবং হাসিখুশি থাকাটাও জরুরি৷
কৃত্রিম কোমার মাধ্যমে কঠিন আঘাতের ফলে হওয়া ‘স্ট্রেস’ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থাকে রোগী৷ দীর্ঘস্থায়ী অ্যানেস্থিয়ার ফলে ভুক্তভোগীদের ব্যথার অনুভূতি হয় না৷ কারণ ওষুধ দিয়ে ব্যথা-বেদনার অনুভূতি অপসারিত করা হয়৷রোগীকে কতদিন কৃত্রিম কোমায় রাখা দরকার, তা নির্ভর করে আঘাত কতটা গুরুতর তার ওপর৷ কারো কারো ক্ষেত্রে কয়েকদিনেই সঙিন অবস্থাটা পার করা যায়৷ আবার কোনো কোনো রোগীকে কয়েক সপ্তাহ অচেতন অবস্থায় নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে দিতে হয়৷পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকিও থাকে অন্যদিকে অচেতন অবস্থা দীর্ঘায়িত হতে থাকলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়৷ থ্রম্বোসিস বা রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে৷ ফুসফুসের সংক্রমণ, কার্ডিওভাসকুলারের সমস্যা, পেশি ও ইমিউন সিস্টেমে দুর্বলতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে৷ এজন্য রোগীকে প্রয়োজনের বেশি অচেতন অবস্থায় রাখতে চান না চিকিৎসকরা৷ মস্তিষ্কের চাপ তেমন সংকটপূর্ণ না হলে রোগীকে কৃত্রিম কোমা থেকে জাগিয়ে তোলা হয়৷ অ্যানেস্থেসিয়া ও ব্যথার ওষুধ ধীরে ধীরে কমিয়ে দেওয়া হয়৷ আর শরীরও ধীরে ধীরে নিশ্বাস-প্রশ্বাসের মতো কার্যক্রম নিজের হাতে তুলে নেয়৷রোগীরা অবশ্য এতদিন পর জেগে উঠে অনেক কিছুই স্মরণ করতে পারেন না৷ অনেক সময় বিভ্রান্ত ও আক্রমণাত্মকও হয়ে ওঠেন তাঁরা৷ স্থায়ীভাবে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়েছে কিনা, সেটা নির্ধারণ করা যায় রোগী কৃত্রিম কোমা থেকে জেগে উঠলে৷ সূত্র- DW.DE