লাইফস্টাইল ডেস্ক:- আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যৌনাঙ্গ কোথায়? সহজ উত্তর। দুই ঊরুর মাঝখানে। কিন্তু বিষয়টি অতটা সহজও নয়। বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যৌনাঙ্গ রয়েছে দুই কানের মাঝখানে। আর তা হল মস্তিষ্ক। কিন্তু মস্তিষ্ক সেক্স টাইমে কতটা হেল্পফুল?
ডিম্যানেশিয়া প্রতিরোধে সেক্স
চলতি বছরের শুরুতে ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত যৌনতা মস্তিষ্কের নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি মানসিক ভাবে কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আর এতে পরিষ্কারভাবে চিন্তা করাও সহজ হয়। এমনকি স্মৃতিশক্তি হারানো বা ডিম্যানেশিয়া প্রতিরোধও সহজ হয়।
ক্রসওয়ার্ড জিততে সেক্স
দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে মেয়েদের অর্গাজমের ওপর গবেষণা করছেন রুটগার্স ইউনিভার্সিটির ব্যারি কমিসারুক ও তার টিম। তাঁরা গবেষণার জন্য মস্তিষ্কের এফএমআরআই করেন। এতে দেখা গিয়েছে মেয়েদের অর্গাজমের সময় মস্তিষ্কের ৩০টি এলাকা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। অন্যদিকে ক্রসওয়ার্ড, সুডোকুর মত ব্রেন গেমে ভাল পারফর্ম করতে হলে যৌনতার প্রভাব অনস্বীকার্য।
তারুণ্য ধরে রাখতে সেক্স
‘ডিএইচইএ’ হরমোন শরীরে তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে। যৌনতার ফলে দেহে এ হরমোনের উৎপাদন বাড়ে এবং এতে মস্তিষ্কের কাজ উন্নত হয়। ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিনের এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, ‘ডিএইচইএ’ মস্তিষ্কের নতুন কোষ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
‘Cool Head’-এর দাওয়াই যৌনতা
যৌনতা মানুষের মানসিক চাপ কমানোর প্রাকৃতিক দাওয়াই। এর কারণ হিসেবে গবেষকরা জানিয়েছেন, যৌনতার সময় মস্তিষ্কে বহু ধরনের হরমোন ও নিউরোট্রান্সমিটার ছড়িয়ে পড়ে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অক্সিটোসিন, ডোপামাইন ও সেরোটোনিন। আর এগুলো পরে সারা দেহেও ছড়িয়ে যায়। ফলে মানুষের মুড ভাল করতে এগুলো সাহায্য করে।
যৌনতা বনাম মেডিটেশন
একসঙ্গে অনেক কাজের জন্য নারীর মস্তিষ্ক পুরুষের তুলনায় উপযোগী। আর এ ক্ষেত্রে অর্গাজমের সময়ও যৌনতার পাশাপাশি সচেতনতার একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্গাজমের সময় অনুভূতির ভূমিকা অনেকটাই।
সেক্সে বাড়ে ডোপামাইন
দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে ডোপামাইনের মাত্রা কমে যেতে পারে, যার অর্থ আপনি যৌনতায় আগের তুলনায় কম সময় দিচ্ছেন। আর এ রাসায়নিকটি নানা আনন্দদায়ক কাজের মাধ্যমেই বাড়ানো সম্ভব, যার অন্যতম যৌনতা।সূত্র: ওয়েবসাইট
মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যৌনাঙ্গ কোথায়
Share This