মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে আন্দোলন দমানো যাবে না: মির্জা ফখরুল

জি নিউজ অনলাইনঃ- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে আন্দোলন দমানোর নীল নকশা বাস্তবায়ন করা যাবে না। যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের দ্রুত মুক্তি দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, যুবদলের সভাপতিকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। অবৈধ এ সরকার দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির উপর বিশেষ করে যুব সমাজের উপর আঘাত হেনেছে। যুবকদের লালিত স্বপ্নকে আজ মরীচিকায় পরিণত করেছে।
গতকাল সোমবারজাতীয়তাবাদী যুবদলের ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন. আওয়ামী লীগ মুখের গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। কিন্তু আচরণে ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী। মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, বিএনপিকে গোছানোর চলমান প্রক্রিয়াকে সরকার বাধাগ্রস্ত করছে। আওয়ামী লীগ নেতারা হুমকি ধামকি দিয়ে বিরোধী মতকে দমিয়ে রাখতে চায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে তাদের চেহারা দেখতে বলুন, কারণ তারা নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখতে পারে না।
এদিকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুমকি এবং তার মানহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠন করা হয়েছে। আগামী ২২ জানুয়ারি এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছে আদালত।
গতকাল সোমবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল হক এ আদেশ দেন। আনুষ্ঠানিক চার্জ গঠনের মধ্যদিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হলো।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত এক কর্মসূচিতে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। এই প্রধানমন্ত্রীর বাবাও ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েম করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তার সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে এ সরকারও যদি জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায় তাহলে ৭৫ এর পরিণতি বরণ করতে হবে। এ ঘটনায় জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মানহানি ও প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

Exit mobile version