মৃত্যুঞ্জয়ী রেশমা পুরোপুরি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন- চিকিৎসকেরা

reshma 111111 copyসাভার প্রতিনিধি,জি নিউজ:সাভারের রানা পাজার ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ১৭ দিন পরে  জীবিত উদ্ধার হওয়া রেশমা পুরোপুরি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
রেশমা স্বাভাবিক খাবার খেতে শুরু করেছেন। তবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে আরও কয়েকটা দিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হবে। রেশমা এখন সাভারের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। সিএমএইচের উপসহকারী পরিচালক মেজর ফখরুল আলম গতকাল শনিবার সকালে বলেন, রেশমার সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক আছে। তার সব ধরনের শারীরিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সব রিপোর্ট মোটামুটি ভালো। তিনি স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে তাঁর অবস্থা ভালোর দিকে । এর আগে সকাল সাতটায় রেশমার সঙ্গে দেখা করেন তার ছোট ভাই সাদেকুল। সাদেকুল জি নিউজ বিডি ডট নেটকে জানান, তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় রিকশা চালান। রেশমার উদ্ধার হওয়ার খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে তিনি ঢাকা থেকে সাভারের উদ্দেশে রওনা হন। তবে সাভারে পৌঁছাতে অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় শুক্রবার তিনি রেশমার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। গতকাল সকাল সাতটার দিকে তিনি রেশমার সঙ্গে দেখা করেন। রেশমা তাকে দেখে আনন্দিত হয়ে কিছুক্ষণ হাসেন। এর পরই কেঁদে ওঠেন রেশমা। সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় বোনকে ফিরে পাওয়ায় সরকারসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান সাদেকুল। ভাইবোনের মধ্যে রেশমা সবার ছোট।

ধসের সপ্তদশ দিন শুক্রবার বিকালে ৩.২৭ মিনিটে রেশমা আক্তার নামে এক নারীকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এছাড়া শুক্রবার বিকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে আরো ৩৪টি লাশ। ওই ভবনে পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানায় তখন কাজ চলছিলো। উদ্ধারকর্মীরা নয়তলা ভবনের সামনের দিকের ধ্বংসস্তূপ আগেই সরাতে পেরেছেন। ৭ মে রাত থেকে তারা ভবনের পেছন দিকের ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করেন। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখন যেসব মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে তার বেশিরভাগই বিকৃত হয়ে গেছে। লাশের সঙ্গে পরিচয়পত্র বা মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তার মাধ্যমেই পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছেএ রেশমার জীবিত উদ্ধার হওয়াকে একটি অলৌকিক ঘটনা বলে উল্লেখ করলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

Exit mobile version