মেয়েকে যৌন নিগ্রহ বাবার, ছুরি কাহত মা

অনলাইন ডেস্কঃমেয়েরশরীর ভোগ করতে চায় বাবা৷ মা চান মেয়েকে রক্ষা করতে৷ তাই তাকে নিয়ে পালিয়েগিয়েছিলেন বাপের বাড়িতে৷ কিন্তু বাঁচতে পারেননি৷ শ্বশুরবাড়িতেও হানা দিতেশুরু করে কামুক পুরুষটি৷ মেয়ের মা আর মামিমা বাধা দেন, মামারা অপমান করেবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন৷ তাই গোয়ালঘরে লুকিয়ে থেকে স্ত্রীর গলায় ছুরি চালিয়েদেয় সে৷ কোপায় মেয়ের মামিকেও৷ মা হাসপাতালে লড়াই করছেন মৃত্যুর সঙ্গে৷আতঙ্কে মেয়ে ঠকঠক করে কাঁপছে ঘরে বসে৷ আর পুলিশ বলছে, ‘আমরা বিশ্বাস করতেপারছি না, সত্যিই এমন কেউ করতে পারে৷অভিযুক্ত লকাই রায়ের খোঁজে চিরুনিতল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷ বর্ধমানের এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, ‘লকাই রায়কে ধরার জন্য সবরকম তল্লাশি শুরু হয়েছে৷ ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরব্যবস্থা করার চেষ্টা করব৷ঘটনাস্থল বর্ধমানের থানার তেজগঞ্জ বলমহাটএলাকাস্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন যাবত্‍ ১৪ বছরের মেয়েকেশারীরিক নিগ্রহ করে আসছিল লকাই রায়৷ তার স্ত্রী প্রতিবাদ করায় তাদের ১১বছরের ছেলেকে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে লকাই৷ বাধ্য হয়েছেলেমেয়েকে নিয়ে মা পালিয়ে আসেন বাপের বাড়িতে৷ কিন্ত্ত নিস্তার পাননি৷স্কুল-টিউশনে যাওয়ার পথে মেয়ের উপর চড়াও হত বাবা৷ গত মঙ্গলবার রাতে মদ্যপঅবস্থায় শ্বশুরবাড়িতে এসে সে মেয়েকে নিয়ে যেতে চায়৷ কোনওক্রমেমামা-মামিমারা মিলে তাকে তাড়ান৷ কিন্ত্ত লকাই পালায়নি৷ শ্বশুরবাড়ির গোয়ালেলুকিয়েছিল সে৷ পরের দিন স্ত্রী গোয়ালে গেলে ছুরি নিয়ে তাঁর গলায় চালিয়ে দেয়বলে অভিযোগ৷ আহত হন মেয়ের মামিও৷ তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তিকরা হয়েছে৷ দিদিমার আশ্রয়ে রয়েছে আতঙ্কিত কিশোরী মেয়েটি৷ পুলিশ অবশ্য দ্রুতলকাইকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছে৷ সূত্রএই সময়

Exit mobile version