বিনোদন প্রতিবেদক ঃ বলা হয়ে থাকে, পুরুষ সৌন্দর্যের পূজারী এবং নারী হলো সৌন্দর্যের আধার। রূপক অর্থে নারীকে তাই কখনো দেবীর সঙ্গে তুলনা করা হয়। পুরুষ যেন সেই দেবীর গুণমুগ্ধ একজন পূজারী।
নারীর শারীরিক সৌন্দর্য ছাড়াও চেহারা, চুল, কথা কিংবা হাসি যাই বলা হোক না কেন, পুরুষ যেন এসবের গুণমুগ্ধ গুণবিচারী। তবে নারীর সব সৌন্দর্য উপকরণের মধ্যে যে দিকটি পুরুষের মনে জায়গা করে নেয় সহজেই এবং যা সেই মনে বসবাসও করে দীর্ঘদিন, তা হলো নারীর দাঁত।
হলিউড কিংবা আর যাই হোক না কেন, সেলিব্রিটি হয়ে কোনো লাল কার্পেটে হাঁটার জন্য যে জিনিসটি সবচেয়ে জরুরি তা হলো, একটি চোখ ধাঁধানো সাদা হাসি। তবে পছন্দের কোনো পুরুষকে নির্বাচন করার ক্ষেত্রেও মুক্তোর মতো দাঁত অনেক বড় ভূমিকা রাখে। জরিপ শেষে অভিমত দেয়, ‘দাঁত হলো প্রথম জিনিস, কোনো নারীর ক্ষেত্রে পুরুষ যেদিকে প্রথম দৃষ্টি রাখে। একাধারে তিন বছর ধরে নারীর সৌন্দর্যের ১০টি দিকের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। এই তালিকার অর্ধেক জুড়েই নারীর বাহ্যিক সৌন্দর্য উপকরণ স্থান করে নিয়েছে। তালিকায় এসব উপকরণের মধ্যে দাঁতের পরেই রয়েছে নারীর চুল; যা ভোট পেয়েছে প্রায় ৫১ শতাংশ। ওরাল-বি স্মাইলের পরিচালক ডাক্তার অচেন্না এই দিকটির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ‘প্রতিদিনের দাঁতের সুরক্ষা নিশ্চিত করুন, তারা (দাঁত) আপনাকে এর প্রতিদান দেবে, বাড়িয়ে দেবে আত্মবিশ্বাস, তাই আপনার জমকালো হাসির জন্য আপনি হবেন গর্বিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘হাসি নিয়ে লোকজন আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি সচেতন। আর আমার কাছে যে সব মক্কেল আসে তাদের বেশিরভাগেরই চাওয়া হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর সাদা হাসি।’ এক সমীক্ষায় ওরাল-বি দেখেছে, তাদের কাছে যেসব মক্কেল আসে তাদের মধ্যে প্রতি তিনজনের অন্তত একজন প্রতিদিন দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করে না। তবে তারা দাবি করেন, যেকোনো সময় থেকেই দাঁতের পরিচর্যা শুরু করা যেতে পারে। তারা শ্যারিল কোল এবং লুইস ওয়ালসের মতো অনেক তারকার নামও টেনে আনেন; যারা সেলিব্রিটি হওয়ার পরই দাঁতের দিকে মনোযোগী হয়েছেন। তাই শুধু বিপরীত লিঙ্গের আকর্ষণের জন্যই নয়, প্রতিদিন দুই বেলা দাঁতের সুরক্ষা নিঃসন্দেহে বাড়িয়ে দেয় মানুষের আত্মবিশ্বাস।