দুধ ও দই
দুধ ও দইয়ের মধ্যে ট্রাইপটোফান নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে। এ উপাদানটি সেরাটোনিন ও মেলাটোনিন হরমোন তৈরি করে যেমন খাবারে রুচি বাড়ায়, তেমনি ঘুমে সহায়তা করে। দেহ-ঘড়িকে সচল রাখতে এটা খুবই জরুরি। তাই রাতে খাবারের সময় বা পরে দুধ ও দই বা এজাতীয় খাবার খেতে পারেন।
কলা
কলায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম আছে। এই খনিজ উপাদানগুলো সারা দিনের ক্লান্তির পর রাতে মাংসপেশির টান লাগা, ব্যথা হওয়া ইত্যাদি থেকে শরীরকে মুক্ত রাখতে সহায়ক। কলা খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হবে এবং বিশ্রাম ও ঘুমে কাজে লাগবে।
তিসির বীজ
এই শস্যদানাটি খুবই উপকারী। যেমন এর তেল, তেমনি সরাসরি তিসিবীজও আঁঁশযুক্ত খাদ্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ এই খাবার উদ্বেগ ও হতাশা কমাতে সহায়ক। ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা দূর করতে হলে উদ্বেগ ও হতাশা কমানো জরুরি।
গম ও বার্লি
গম ও বার্লিজাতীয় শস্যদানায় প্রচুর পরিমাণে সমৃদ্ধ ম্যাগনেশিয়াম আছে। নিয়মিত অল্প পরিমাণে এই ম্যাগনেশিয়াম গ্রহণ করলে না ঘুমিয়ে থাকাটাই কঠিন। রাতে গমের আটার রুটি খাওয়া বা বার্লির সুপ খাওয়া দারুণ কাজে লাগতে পারে।
ছোলা, বুট, মটর দানা
ছোলা, বুট ও মটর দানা ভিটামিন বি-সিক্স সমৃদ্ধ। শরীরে ঘুমজাগানিয়া হরমোন মেলাটোনিন তৈরিতে খুবই কাজে আসে এই ভিটামিন বি-সিক্স। এসব শস্যদানার অন্য অনেক উপকারের কথা না ভাবলেও কেবল ভালো ঘুমের প্রয়োজনেই নিয়মিত অল্প পরিমাণে ছোলা, বুট বা মটর দানা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।সূত্র : ইন্টারনেট
যব ও জই দানা
যব ও জই দানাও ট্রাইপটোফান নামের অ্যামাইনো অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উত্স। রাতের বেলায় যব বা জই দানার তৈরি কোনো হালকা খাবারে শরীরের অবসাদ দূর হতে পারে, ঘুমের জন্য সহায়ক হতে পারে।সূত্র : ইন্টারনেট