বিবিসির খবরে বলা হয়, পশ্চিম কেনিয়ার ভিক্টোরিয়া হ্রদে সারা রাত মাছ ধরে সকালে তীরে জেলেদের নৌকা এসে দাঁড়াতেই অনেকটা ভিড় জমে যায়। কেউ নিজে খাওয়ার জন্য আর কেউবা জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনে খুচরা বাজারে বিক্রির জন্য দরদাম শুরু করে দেন। দরদামকারীদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী। তবে এই নারীরা অর্থের বিনিময়ে মাছ কেনেন না। নারীরা মাছের বিনিময়ে জেলেদের সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হন। আর দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই বিনিময় ব্যবস্থা ‘সেক্স ফর ফিশ’ নামে পরিচিত। স্থানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ‘জাবোয়া’।লুসি অধিয়াম্বো নামের ৩৫ বছর বয়সী ক্রেতা বলেন, ‘এখানে নারীদের হাত-পা বাঁধা। মাছ কেনার জন্য আমি জেলেদের সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হতে বাধ্য, কারণ আমার আর অন্য কোনো উপায় নেই। সাধারণত আমি সপ্তাহে দু-একজন জেলের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করি। আমি জানি যে এতে আমার রোগ হতে পারে, কিন্তু আমার তো আর কোনো উপায় নেই। এই কেনা মাছ বিক্রি করেই আমার সন্তানদের আবার স্কুলে পাঠাতে হয়। জাবোয়া (যৌনতা) একটি খারাপ অভ্যাস।মাছ ক্রেতা লুসি অধিয়াম্বোফেলিক্স অচিয়েং নামের ২৬ বছর বয়সী এক জেলে বলেন, তিনি বিবাহিত। তার পরও প্রতি সপ্তাহে তিনি মাছের বিনিময়ে তিনজন নারীর সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হন। তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবাও এই জাবোয়া করতেন। এটা আমি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। নারী ক্রেতারা মাছের অর্ধেক দাম শিলংয়ে (স্থানীয় অর্থ) পরিশোধ করে। আর বাকি অর্ধেক যৌনতা দিয়ে শোধ করে।’এই কাজের জন্য লজ্জিত কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ফেলিক্স বলেন, ‘হ্যাঁ, এ কাজে আমি লজ্জিত। এটা খুবই খারাপ একটা ব্যাপার। তবে এখানে মাছ কিনতে আসা অনেক নারীই এ কাজে প্ররোচনা দেয়। তাঃ-১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।