১৭ সেপ্টেম্বর আনুমানিক ১৪.৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর আভিযানিক দল রাজধানীর মধ্য-বাড্ডা থানাধীন জুয়েল সুপার মার্কেট এলাকায় শাওন দধি ভান্ডার ও ফাহিম দধি ভান্ডারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিএসটিআই-এর অনুমোদন ব্যাতীত, অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে দধি তৈরী করার সময় ১০০ ্(একশত) কেজি দধি জব্দ করে এবং দধি ভান্ডারের মালিক ১। মোঃ আল আমিন (২০), ২। মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ (৩০) কে আটক করে।
কারখানার মালিকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বেশ কিছুদিন যাবৎ বিএসটিআই এর লাইসেন্স ব্যতীত দধি উৎপাদন এবং বিপনন করে আসছে এবং দধিতে ব্যবহৃত অনেক উপাদান মানব স্বাস্থ্যর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এছাড়া ভান্ডার দুটির আশেপাশের পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। আসামীদের এরুপ স্বীকারোক্তির ভিক্তিতে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, বিএসটিআই অধ্যাদেশ ১৯৮৫ (সংশোধনী/২০০৩) এর ২৪/৩১ এর (এ) ধারা লক্সঘনের অভিযোগে ১। মোঃ আল আমিন (২০), ২। মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ (৩০) প্রত্যেকে ৭,০০০/- (সাত হাজার) টাকা জরিমানা, জরিমানা অনাদায়ে ০৭ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন।
অপরদিকে মধ্য-বাড্ডা এলাকায় নামবিহীন একটি আইসক্রিম কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিএসটিআই এর অনুমোদন ব্যাতীত, আইসক্রিম তৈরীর করার ২০,০০০ (বিশ হাজার) পিস আইসক্রিম জব্দ করে এবং কারখানার থেকে মোঃ শহিদুল্লাহ (৬৫) কে আটক করে। আটককৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান শিল্প-
কারখানা ও কাপড়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের রং, সেকারিন, কৃত্রিম সুগন্ধি, এ্যারারুট ও টেপের পানি দিয়ে আইসক্রিম তৈরি করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বাজার জাত করা হয়। ব্যবহৃত এ সকল উপাদান মানব স্বাস্থ্যর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এছাড়া কারখানাটির আশেপাশের পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। গ্রেফতারকৃত আসামী’র এরুপ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, বিএসটিআই অধ্যাদেশ ১৯৮৫ (সংশোধণী/২০০৩) এর ২৪/১৯
উক্ত অভিযানের নেতৃত্ব প্রদান করেন র্যাব-২-এর উপ-পরিচালক ড. মোঃ দিদারুল আলম। এছাড়া আরোও উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই প্রতিনিধি ফিল্ড অফিসার (সিএম) জনাব মোঃ মনির হোসেন। ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখবে।