রাজধানী ঢাকায় পুলিশের সাথে জামায়াতে ইসলামী এবং শিবিরের কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

ঢাকা প্রতিনিধি, জি নিউজ: পুলিশের সাথে জামায়াতে ইসলামী এবং শিবিরের কর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। জুমার নামাজের পর কয়েকটি ইসলামপন্থী দলের নতুন একটি মোর্চার আত্মপ্রকাশের একটি পূর্বঘোষিত কর্মসূচি থাকলেও পুলিশ বলছে, সহিংসতায় জড়িত ছিল জামায়াত এবং শিবিরের কর্মীরা।সংঘর্ষের সময় একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে একজন শিবিরকর্মীও নিহত হয়েছে। এদিকে ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের কাছে।

ব্লগে ইসলাম ধর্মকে অবমাননাসহ নানা অভিযোগে ইসলামপন্থী কয়েকটি দলের একটি মোর্চা তাদের প্রথম একটি কর্মসূচি দিয়েছিল, শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে।

“ঈমান এবং দেশ রক্ষা আন্দোলন” নামের এই মোর্চাটির নেতারা বলছেন, পুলিশের অনুমতি না থাকায় এবং বাঁধার কারণে তারা তাদের কর্মসূচি আজ পালন করতে পারেননি।

পুলিশ বলছে, তাদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মূলত: জামায়াত এবং শিবিরের কর্মীরা।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম বলেন, ফকিরাপুল এলাকা থেকে জামায়াত কর্মীরা মিছিল বের করে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়ে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং শটগানের গুলি ছুড়লে মিছিলকারীরা পালিয়ে যায়।

ফকিরাপুল এবং আশেপাশের এলাকা থেকে পুলিশ অন্তত ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান মি. আলম। পুলিশের ধাওয়ার মুখে জামায়াতকর্মীরা স্থানীয় একজন জামায়াত নেতার বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেই বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে একজন শিবিরকর্মী নিহত হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ইসলামপন্থী কয়েকটি দলের মোর্চা ঈমান এবং দেশ রক্ষা আন্দোলনের একটি সংগঠন ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা লতিফ নেজামী দাবী করছেন, তাদের এই মোর্চাটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। তবে এই মোর্চার বেশ কয়েকটি দল বিরোধী ১৮ দলীয় জোটের শরীক। জামায়াত গত কিছুদিন যাবত তাদের নেতাদের মুক্তির দাবী এবং পুলিশের গুলিতে সমর্থকদের নিহত হবার প্রতিবাদে সারাদেশে যে বিক্ষোভ করছে, তার প্রতি এই মোর্চার সমর্থন আছে কিনা? এ প্রশ্নের সরাসরি কোন উত্তর দেননি মি. নেজামী। তবে তিনি জানান, জামায়াতে ইসলামী আনুষ্ঠানিকভাবে এই আন্দোলনে যোগ দেয়নি।

এদিকে বিকেলে ঢাকার শাহবাগের জাগরণ মঞ্চে নারী দিবস উপলক্ষ্যে নারী জাগরণ সমাবেশ চলাকালে মঞ্চের কাছেই দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে।

বিস্ফোরণে একজন র‍্যাব সদস্য আহত হন। মঞ্চের বক্তারা এই হামলার জন্য জামায়াতকে অভিযুক্ত করেছেন।

Exit mobile version