রাজনগরে বিজিবি কতৃক বিপুল পরিমান ভারতীয় বিড়ি আটক করে চোরাকারবারীদের কাছে বিক্রি

আব্দুল হাকিম রাজ,মৌলভীবাজারঃ  মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মোকামবাজারের নিকটবর্তী বেতাহুঞ্জা গ্রামে মঙ্গলবার স্থানীয় পুলিশকে কোন প্রকার তথ্য না দিয়ে বিজিবি কতৃক বিপুল পরিমান ভারতীয় বিড়ি আটকের খবর পাওয়া গেছে।কিন্তু বাস্তবে এরা বিজিবি নাকি ভুয়া বিজিবি সেজে কোন প্রতারক দল প্রতারনা করেছে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেনা। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে একদল লোক বিজিবির পোশাক পরে বেতাহুঞ্জা গ্রামে একটি বাড়ীতে হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লাখ ভারতীয় নাসির বিড়ি আটক করে একটি প্রাইভেট গাড়ীতে করে নিয়ে যায়।এ সময় জসিম নামে কমলগঞ্জ উপজেলার একজন সোর্স ছিল।খবরটি সকাল ৯ টায় এ প্রতিবেদকের কাছে আসলে প্রতিবেদক প্রথমে রাজনগর থানার ওসি নাজিম উদ্দীনকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি এ ব্যাপারে তার কাছে কোন তথ্য নেই বলে জানান। নিয়ম মোতাবেক আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কোন অবৈধ মালামাল উদ্ধার করলে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় মালামাল উদ্ধারের ব্যাপারে মামলা দায়ের করে।কিন্ত রাত ১০ টা পর্যন্ত এব্যাপারে রাজনগর থানায় কোন মামলা দায়েরের খবর পাওয়া যায়নি।সর্বশেষ রাত ১০ টায় রাজনগর থানার ওসি নাজিম উদ্দীন প্রতিবেদককে জানালেন রাজনগর থানা এলাকায় কোন মালামাল বিজিবি কতৃক উদ্ধার হলে অবশ্যই তিনি জানতেন। একটি সুত্র জানায়,মালামাল আটকের পর সোর্স নামধারী জসিম একটি গাড়ীতে করে মালামাল গুলা এক চোরাকারবারীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।আর জসিমের মনোনীত কিছু অসাধু বিজিবি সদস্য অভিযানে জড়িত ছিল।মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় এ প্রতিবেদক সোর্স নামধারী জসিমের ০১৭৩৬-৮৫০৯৩৯ নাম্বারের মোবাইলে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মালামাল উদ্ধারের ব্যাপারটি অস্বীকার করে লাইন কেঁটে দেয়।রাত ১০.৪৫ মিনিটে  পুণরায় জসিমের মোবাইলে ফোন দেয়া হলে সে জানায় বেতাহুঞ্জা গ্রামের অভিযানে সে ছিলনা। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেতাহুঞ্জা গ্রামের একজন মহিলা জানায়,অভিযানের সময় তিনি পর্দার আড়াল থেকে অভিযানের চিত্রটি মোবাইলে ভিডিও করে রাখেন।উক্ত ভিডিও চিত্রে জসিমকে সনাক্ত করেন টেংরাবাজার ইউনিয়নের একজন লোক।তিনি জানান,জসিমকে তিনি খুব ভালো করে চিনেন।সে কমলগঞ্জ বিজিবি,র সোর্স হিসাবে কাজ করে।

Exit mobile version