অনলাইন ডেস্ক:- স্তনের সুন্দর আকৃতি দিতেই মহিলারা ব্রেসিয়ার পড়ে থাকেন। বয়ঃসন্ধির সময়কাল থেকেই মেয়েরা ব্রেসিয়ার পড়তে শুরু করে দেয়। এব্যপারে, অনেকের মনে একটা ভুল ধারনা আছে। তা হল- ব্রেসিয়ার নারীদের স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। বলা হয়, ব্রা স্তনের টিস্যুগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আরেকটি প্রশ্ন প্রায়ই নারীরা চিকিৎসকের কাছে করে থাকেন। তা হলো, ব্রেসিয়ার পরে ঘুমানো কী স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? এর জবাব দিয়েছেন নিউ ইয়র্কের এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গন মেডিক্যাল সেন্টার-এর ব্রেস্ট ক্যান্সার সার্জারি মাল্টিডিসিপ্লিনারি ফেলোশিপ-এর পরিচালক আম্বার গাথ। তিনি বলেন, অনেকেই নানা ব্যাখ্যা দিয়ে ব্রেসিয়ার পরে না ঘুমাতে বলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি যা দিয়ে বলা যায় যে, ব্রেসিয়ার স্তনের জন্য ক্ষতিকর বা এটি পরে ঘুমানো উচিৎ নয়। তিনি আরো জানান, মূলত ১৯৯৫ সালে ‘ড্রেসড টু কিল’ নামের বইয়ে বলা হয় যে প্রতিদিন আঁটোসাঁটো ব্রেসিয়ার পরা স্তন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। ব্রেসিয়ার স্তনে রক্ত ও অন্যান্য উপাদান প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে এবং এতে বিষাক্ত উপাদানের উদ্ভব ঘটে। এ সময় থেকেই ব্রেসিয়ার স্তন ক্যান্সারে কারণ বলে গুজব ছড়িয়ে যায়। এসব কারণ উল্লেখ করা হয় বইটিকে। কিন্তু আসলে চিকিৎসাবিজ্ঞান এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে নিরেট তথ্য পায়নি। একেবারে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়, ব্রা পরার সঙ্গে স্তন ক্যান্সারের কোনো সম্পর্ক নেই। যে সব নারীদের স্তন ক্যান্সার হচ্ছে তাদের ক্যান্সারের সঙ্গে ব্রেসিয়ার পরার কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ‘ক্যান্সার এপিডেমিওলোজি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ফ্রেড হাচিসন ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার-এর পাবলিক হেলথ সায়েন্স বিভাগের গবেষক লু চেন বলেন, ক্যান্সারের সঙ্গে ব্রা পরার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে নারীরা কোন বয়স থেকে ব্রেসিয়ার পরা শুরু করেছেন এবং কী ধরনের ব্রা পরছেন তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এদিকে, হাফিংটন পোস্ট-এর ‘ওমেন’ জানায়, ঘুমের সময় ব্রেসিয়ার পরার মধ্যেও কোনো সুবিধা আছে বলেও জানা নেই। আবার পরলেও কোনো সমস্যা নেই। তবে নারীদের বয়স, গর্ভাবস্থা ইত্যাদি সময় ব্রেসিয়ার পরা বা না পরা নিয়ে তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছা থাকতে পারে। তবে যাদের স্তনের আকার বড় তারা রাতে আরামে ঘুমানোর জন্য ব্রেসিয়ার পরতে পারেন। তবে ঘুমানের সময় কিছুটা ঢিলেঢালা ব্রেসিয়ার পরাই ভালো। এতে অস্বস্তি বা চুলকানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সূত্র:ইন্টারনেট