রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা ১৫ দিনের রিমান্ডে

grefter ranaজি নিউজ ডেস্ক ঃ সাভারে ভবনধসের ঘটনায় করা দুই মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে ১৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ওয়াসিম শেখের আদালতে সাভার থানায় করা পুলিশের মামলায় সোহেল রানাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ; আদালত আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ইমারত নির্মাণ আইনে করা মামলায় সোহেল রানাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ; আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সাভার থানায় করা মামলা ও ইমারত আইনে করা মামলায় রানা প্লাজার ইথার ট্যাক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানকে ১২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সাভার থানায় করা মামলায় আনিসুর রহমানকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ; আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ইমারত আইনে করা মামলায় আনিসুর রহমানকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ; আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সাভার থানায় করা পুলিশের মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া শাহ আলম মিঠু ও অনিল মালিককে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ; আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সোহেল রানাকে আদালতে নেওয়া হয়। আদালতে কয়েকজন আইনজীবী সোহেল রানার পক্ষে দাঁড়াতে চান। এ সময় অন্য আইনজীবীরা তাঁদের বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত সোহেল রানার পক্ষ থেকে কোনো আইনজীবী আবেদন করেননি।
আদালতের আদেশের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খোন্দকার আবদুল মান্নান বলেন, ‘সোহেল রানার উচিত ছিল উদ্ধারকাজে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু তিনি তা না করে বিদেশে পালানোর চেষ্টা করেছেন। আমরা রিমান্ডের আবেদন করেছি। এ ঘটনায় আমরা আইনজীবীরাও ক্ষুব্ধ।’ ঢাকা আইনজীবী সমিতি সোহেল রানাকে কোনো সহায়তা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তিনি জানান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরও জানান, সাভার থানায় করা মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে সোহেল রানার যাবজ্জীবন সাজা হতে পারে। ইমারত আইনে করা মামলায় সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে।

Exit mobile version