অনলাইন ডেস্ক:জি নিউজঃ-জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এবং নিরাপত্তা পরিষদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘ লেবাননের সাধারণ মানুষের প্রতি জাতীয় ঐক্য বজায় রাখারও আহবান জানিয়েছে। এই হামলার ঘটনার ফলে পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দেশটিতে জাতিগত সংঘাতের ভীতি আরও বাড়িয়ে তুলেছে। লেবানন থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানাচ্ছেন বড় আকারের বোমা দুটি মূলত গাড়ি বোমা ছিল এবং সুন্নি মুসলমানদের নেতা শেখ সালেম রাফিকে লক্ষ্য করে বন্দর নগরী ত্রিপোলির এক মসজিদের কাছে এই হামলা চালানো হয়। শেখ সালেম রাফি সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে স্থানীয়দের উৎসাহিত করে আসছিলেন। তিনি মূলত লেবাননের জঙ্গি হিজবোল্লাহ গ্রুপের চরম বিরোধী। তবে হামলার ঘটনার পর তিনি অক্ষত আছেন। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ- বাসার সব কাঁচ ভেঙ্গে গেছে। রাস্তায় অসংখ্য মানুষ আহত হয়ে ছুটোছুটি করছে। রক্তে পুরো এলাকা ভরে গেছে। আহতরা কেউ পড়ে আছে আবার কেউ বাঁচার চেষ্টা করছে হামলার ঘটনার ওপর টেলিভিশনে প্রচারিত খবরে দেখা যায় বিস্ফোরণের পর কাল ধোয়ার বড় কুণ্ডলী শূন্যে ভাসছে। মাজেন ওমরান নামে সেখানকার একজন বাসিন্দা বলেছিলেন, ‘আমরা দেখলাম হঠাৎ বিজলির মতো আলো আর তার পর পরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণের আওয়াজ। আমাদের বাসার সব কাঁচ ভেঙ্গে গেছে। রাস্তায় দেখলাম অসংখ্য মানুষ আহত হয়ে ছুটোছুটি করছে। ভবনগুলো ও মসজিদ থেকে অনেক মানুষ বাইরে এসেছে। রক্তে পুরো এলাকা ভরে গেছে। আহতরা কেউ পড়ে আছে আবার কেউ বাঁচার চেষ্টা করছে।বৈরুতে শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় আরেকটি বড় গাড়ি বোমা হামলার এক সপ্তাহের মাথায় এই হামলার ঘটনা ঘটল। ঐ ঘটনায় ২৭ জন নিহত হয়। তবে এই ঘটনার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের ঘটনার পর থেকে এখানে সুন্নি ও আলাউইত সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে জাতিগত সংঘাত বেড়ে গেছে। ত্রিপোলিতে প্রায় ২ লক্ষ লোকের বসবাস এবং এই সুন্নি অধ্যুষিত এলাকায় আলাউইত সম্প্রদায়ের অল্প সংখ্যক মানুষও বসবাস করেন যারা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন দিয়ে আসছে। অপরদিকে সুন্নিরা বিরোধীদের সমর্থন করে। সুত্র ঃ- অনলাইন / জি নিউজ/তাঃ-শনিবার-২৪ অগাষ্ট, ২০১৩