জিনিউজ-
শেরপুর প্রতিনিধিঃ দরপত্র কমিটিতে জেলা বিএমএ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সদস্য না রাখায় শেরপুর সিভিল সার্জনের ওপর হামলা হয়েছে। সিভিল সার্জনকে মারধর এবং তার কক্ষের কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। বুধবার এ ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শহরে মিছিল ও সমাবেশ করে ঘটনায় জড়িত দুই চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করেছেন। এ ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দোষীদের গ্রেফতার দাবি করে কর্মবিরতি ও কালোব্যাজ ধারণের কর্মসূচি দিয়েছেন জেলা সদর হাসপাতাল এবং সদর উপজেলার চিকিৎসক ও কর্মচারী নেতৃবৃন্দ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ২০১২-১৩ অর্থবছরের মালপত্র ক্রয়ের দরপত্র দাখিল চলাকালে হঠাৎ জেলা বিএমএ সভাপতি ও স্বাচিপ আহ্বায়ক ডা. আবদুল বারেক তোতা, সাধারণ সম্পাদক ডা. মিন্টু চন্দ্র পাল সিভিল সার্জন ডা. মাইনউদ্দিন মিয়ার কক্ষে প্রবেশ করেন। তারা সিভিল সার্জনের কাছে দরপত্র কমিটিতে তাদের নাম না থাকার কারণ জানতে চাইলে দু’জন তার ওপর চড়াও হন। এরপর তারা সিভিল সার্জনকে ধাক্কা মেরে মেঝেতে ফেলে দিয়ে কক্ষের কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে বেরিয়ে যান।
দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযুক্ত দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাদের বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন এবং জেলা প্রশাসকও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান ও গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে ১ ঘণ্টার প্রতীকী কর্মসূচি পালন ও কালোব্যাজ ধারণের সিদ্ধান্ত নেন।
সংবাদ সম্মেলনে ২৩ ডাক্তারসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ডা. মিন্টু চন্দ্র পাল বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। সভাপতি এবং আমি সিভিল সার্জনের কাছে দাওয়াত নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে তার সঙ্গে কথা বলার সময় কিছুটা জোরে কথাবার্তা হয়। এ সময় চেয়ার থেকে উঠতে গিয়ে চেয়ারে ধাক্কা খেয়ে তিনি পড়ে যান।
শেরপুরে সিভিল সার্জনের ওপর দুই বিএমএ নেতার হামলা
Share This