গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃগাইবান্ধাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন অগ্নিসংযোগ, হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে সোমবার গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধর্মপুরে এক মানববন্ধনের কর্মসূচী পালিত হয়। সচেতন নাগরিক সমাজ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধন কর্মসূচী চলাকালে বক্তব্য রাখেন বাসদের নিহারঞ্জন চন্দ্র, আ’লীগ নেতা একেএম কামরুল হুদা রাজু, যুবলীগের জিএফএম মামুর, ওয়ার্কার্স পার্টির বিধান দাস, অধ্যক্ষ অনিমেষ কুমার শৈলাসসহ অন্যান্যদের মধ্যে বিধান চন্দ্র বর্মণ, সাদিকুল ইসলাম দুলাল, দীপক কুমার বর্মণ, নিহারঞ্জন সুজন, সাইদুর রহমান প্রমুখ।
পলাশবাড়ির বিশ্রামগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
নির্বাচনী সহিংসতায় জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের অগ্নিসংযোগে ভস্মিভুত পলাশবাড়ির বিশ্রামগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান চলছে এখন খোলা আকাশের নিচে। ফলে নতুন বই নিয়ে বছরের শুরুতেই বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় চরম বিপাকে পড়েছে। যা তাদের মনেও এনে দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
উলে¬খ্য, পলাশবাড়ি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের বিশ্রামগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ি) আসনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। নির্বাচনের আগের দিন ৪ জানুয়ারি রাতে ওই এলাকার নির্বাচন বিরোধী জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা পেট্টোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় বিদ্যালয়টিতে। এতে এতদঞ্চলের শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের অনেক সাধের বিদ্যালয় ভবনটি চেয়ার-টেবিল, বেঞ্চ ও আসবাবপত্রসহ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
অর্থাভাবে বিদ্যালয়টি সংস্কার করা সম্ভব না হওয়ায় বছরের শুরুতেই ওই বিদ্যালয়ের প্রায় ২শ’ ৫০ জন ছাত্রছাত্রী চরম বিপাকে পড়েছে। শীতের এই ঘন কুয়াশা ও রোদে খোলা আকাশের নিচে নতুন বই নিয়ে ঘাসের উপর বিছানো চটে বসে লেখাপড়া শিখতে হচ্ছে। নির্বাচন বিরোধীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই বিরুপতা শুধু ছাত্রছাত্রীদের নয় এলাকাবাসি অভিভাবকদেরও বিক্ষুব্ধ করেছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একেএম আমিরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না থাকায় জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়টি সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের খোলা মাঠেই পাঠদান করানো হচ্ছে।