সংঘাতের ফলে বিশ্বব্যাপী ‘বাস যোগ্যতা’ কমেছে

এক জরিপে জানা গেছে, বাসযোগ্যতার দিক থেকে বিশ্বের নিকৃষ্টতম শহর হলো সিরিয়ার দামেস্ক৷ ছবিটি সেখানকার৷

অনলাইন ডেস্ক:- একটি জরিপ অনুযায়ী বিগত পাঁচ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বাসযোগ্যতা কমেছে – প্রধানত সংঘাতের কারণে৷ জরিপের ১৪০টি শহরের মধ্যে ৫১টি শহর ২০০৯ সালের তুলনায় কম ‘বাসযোগ্য’৷

জরিপটিকরেইআইইউবাদ্যইকনমিস্টইন্টেলিজেন্সইউনিট শহরগুলির বাসযোগ্যতা বিচার করা হয় স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামো দিয়ে৷ যে’সব শহরগুলিতে বাসযোগ্যতা বিশেষভাবে হ্রাস পেয়েছে, তাদের মধ্যে আছে ইউক্রেনে কিয়েভ, লিবিয়ায় ত্রিপোলি এবং সিরিয়ায় দামেস্ক৷ যে শহরগুলির ‘স্কোর’ বা ফলাফল সর্বনিম্ন, সেগুলির সব ক’টি এক হিসেবে সংঘাতের শিকার৷

ইআইইউ-এর ভাষ্যে: ‘‘ইউক্রেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত থেকে পুনরায় দেখা গেছে যে, বিগত এক দশকে ইরাক যুদ্ধ থেকে শুরু করে ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা ও আরব বসন্তের মতো স্থিতিহানিকর ঘটনাবলীর প্রভাব এখনও অব্যাহত৷….স্থানীয় স্থিতিহীনতা ব্যাংককের মতো শহরগুলিকে প্রভাবিত করেছে,” বলেছে ইআইইউ৷

বিগত চার বছরের মতো এবারেও বাসযোগ্যতার দিক থেকে মেলবোর্ন বিশ্বসেরা৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা৷ তার পরেই আসছে ক্যানাডার ভ্যানকুভার ও টরোন্টো, এই দু’টি শহর৷ বিশ্বের প্রথম দশটি সর্বাধিক বাসযোগ্য শহরের মধ্যে পড়ছে অস্ট্রেলিয়ার আরো তিনটি শহর: অ্যাডেলেইড, সিডনি ও পার্থ৷

যে ১৪০টি শহরকে জরিপে ধরা হয়েছে, তাদের মধ্যে বাসযোগ্যতার দিক থেকে নিকৃষ্টতম হলো সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক৷ নীচের দিকের অন্যান্য শহরের মধ্যে আছে ঢাকা, পাপুয়া নিউগিনির পোর্ট মোর্সবি, নাইজেরিয়ার লাগোস এবং পাকিস্তানের করাচি৷ ইআইইউ-এর রিপোর্ট বলছে: ‘‘অপেক্ষাকৃত সমৃদ্ধ দেশগুলিতে কম জনসংখ্যার মাঝারি আকারের শহরগুলিই সেরা ফলাফল করে থাকে৷ এই সব শহরে সময় কাটানোর বিভিন্ন ধরনের উপায় ও পন্থা উপস্থিত, কিন্তু তার ফলে অপরাধবৃত্তি বাড়েনি অথবা অবকাঠামোর উপর অত্যধিক চাপ পড়েনি৷’ খবর-dw

Exit mobile version