প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা গেছে, পাঁচজনের একটি দল এই সহিংসতা ঘটিয়েছে। দুই বছর আগে ২০১১ সালে মিশরের আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছিলেন সিবিএস নিউজের প্রতিবেদক লরা লগান। এরপর আবার ডাচ সাংবাদিকের ধর্ষিত হওয়ার মাধ্যমে একই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো।
আক্রান্ত সাংবাদিক এতোটাই আহত হয়েছেন যে, তাকে জরুরী অস্ত্রপচারের প্রয়োজন হয়। মিশরে অবস্থিত নেদারল্যান্ড দূতাবাস থেকে শনিবার এক বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিটিতে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার রাতে তাহরির স্কয়ারে এক ডাচ নারী সাংবাদিক অপহৃত হয়েছেন। যাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে খবর প্রচার করেছে মিশরের কয়েকটি পত্রিকা। পরে তাকে উদ্ধার করে কায়রোর এক হাসপাতালে চিকিৎসা করে নেদারল্যান্ডে তার পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আক্রান্ত হওয়ার কিছুক্ষণ আগের একটি ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। আর নারী সাংবাদিকের ধর্ষণের খবর প্রথম প্রতিবেদন তুলে আনেন মিশরের সাংবাদিক দীনা যাকারিয়া। তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রথম বিষয়টি তুলে ধরেন।
ধর্ষণ ও নারী সহিংসতার বিরুদ্ধে কাজ করে এমন একটি গ্রুপ জানিয়েছে, তাহরীর স্কয়ারে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে রবিবার। তারা আরো জানায়, সবেচেয়ে বেশি (৪৪টি) যৌন আক্রমন ও সহিংসতার ঘটনা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে রবিবার রাতে। ২০১২ সালের নভেম্বরে সংস্থাটি গঠনের পর একদিনে এতো বেশি সংখ্যক সহিংসতার খরব তারা আগে পায়নি।
মিশরের “ইজিপ্ট টোয়েন্টি ফাইভ” চ্যানেলের সাংবাদিক দীনা যাকারিয়ার বরাত দিয়ে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে, ডাচ সাংবাদিক যেসব লোকদের দ্বারা ধর্ষিত হয়েছে তারা নিজেদের “বিপ্লবী” বলে পরিচয় দেয়।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, মিশরের একটি সংস্থার সাথে ডাচ সাংবাদিক বিক্ষোভের ফটো ও ভিডিও চিত্র সংগ্রহের জন্য তাহরীর স্কয়ারে গিয়েছিলেন। অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, এই বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, নারীদের স্বাভাবিক জীবনের চলাফেরা কে বাধাগ্রস্ত করতেই এভাবে নারী সাংবাদিকদের আক্রমন করা হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে কায়রোর পরিস্থিতি আরো মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
প্রসঙ্গত, ডাচ সাংবাদিকের নিগৃহীত হওয়ার ঘটনাটি সম্প্রতি বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে গোটা বিশ্বে তোলপাড় শুরু হয়।
সূত্র: ইন্টারনেট।