জানা গেছে, খালেদা জিয়ার কাছে যে চিঠিটি পাঠানো হবে তা নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে গণভবনে মহাজোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে জরুরি আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে চিঠির বিষয়বস্তু ও সংলাপের প্রক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়েও বিভিন্ন আলোচনা হয়।
জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো বাংলাদেশ সফরে এসে দ্রুত সংলাপ শুরুর তাগিদ দেন। তারানকোর উদ্যোগের ফলে দুই প্রধান রাজনৈতিক জোটের মধ্যে সংলাপের আশার আলো দেখা দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপের প্রস্তাব দেয়ার জন্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন।
একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোথায় কিভাবে সংলাপ করা যায় এবং আলোচ্যসূচি কী হতে পারে ওই বিষয়টি চিঠিতে থাকতে পারে। আজ কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বিষয়টির চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এই চিঠি যে কোনো দিন পাঠানো হতে পারে। বিরোধীদলীয় নেত্রীর গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয় কিংবা বাসভবনে গিয়ে সৈয়দ আশরাফ নিজেই চিঠিটি পৌঁছে দিতে পারেন।
জহিরুল ইসলাম রেমন/জি নিউজ