অনলাইন ডেস্ক:- সন্তানদের সামনে বাবা-মায়ের ঝগড়া-বিবাদের পরিণতি কী হতে পারে তা নিয়ে গবেষণা চালানো হয়েছে। গবেষণায় ১৭ থেকে ২০ বছর বয়েসী ৫৮ জন ছেলে-মেয়েদের বাবা-মাকে প্রশ্ন করেন একদল গবেষক। গবেষকরা সন্তানদের জন্ম থেকে ১১ বছর পর্যন্ত বয়েস পর্যন্ত সাংসারিক জীবনে কী কী ঘটেছিল তা বাবা-মাকে জিজ্ঞাসা করেন। এরপর বাবা-মায়ের ঝগড়া-বিবাদকে উচ্চস্বরে ঝগড়া, জিনিসপত্র ভেঙে ফেলা এবং দৈহিক নির্যাতন- এই তিন ধরনের পরিস্থিতি বিবেচনায় আনেন বিজ্ঞানীরা। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এ সংক্রান্ত গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন।এরপর বিজ্ঞানীরা সন্তানদের মস্তিষ্কে স্ক্যান চালান। এতে দেখা যায়, বাবা-মায়ের এসব সাংসারিক টানাপড়েনে সন্তানদের মগজে বেশ জোরালো প্রভাব ফেলেছে। মস্তিষ্কের মোটর পরিচালনায় বেশ গুরুত্ব রাখে এমন অংশটির নাম সেরিবেলাম। পরিবারে অভিভাবকদের ঝামেলার কারণে সন্তানের মগজের সেরিবেলাম অংশে বাদামী পদার্থের মাত্রা কমিয়ে দিয়েছে। এই বাদামী পদার্থ গোটা দেহের সেন্ট্রাল নার্ভ সিস্টেমের কাজে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখে। প্রতিবন্ধী মানুষের মগজের সেরিবেলাম অংশে বাদামী পদার্থের ঘাটতি দেখা যায়।অন্যান্য ছোট কিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে, পিতা-মাতার সাংসারিক গোলযোগ আরো কিছু মানসিক সমস্যা তৈরি করে যা সিজোফ্রেনিয়া, বিষণ্নতা এবং বাইপোলার ডিসওর্ডার এর জন্যে দায়ী।গবেষক দলের প্রধান নিকোলাস ডি ওয়ালশ বলেন, বাবা-মায়ের ঝগড়া, গায়ে হাত তোলা ইত্যাদি দৃশ্য ছেলে-মেয়েদের মনে ভয়-ভীতি সৃষ্টি, স্কুলে না যাওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে বাজে অবস্থার সৃষ্টি করে। শিশু বয়েসীদের মাঝে এর ফলাফল আরো ব্যাপক আকারে দেখা দেয় যা তাকে ভবিষ্যতে অস্বাবিক মানসিক অবস্থাসম্পন্ন করে তুলতে পারে।ওদিকে, যাদের পরিবারে এমন সমস্যা কম দেখা গেছে সে সকল পরিবারের সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য অনেক উন্নত। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান তাঃ-২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪।