জি নিউজঃ- প্রতিদিনই আমরা নতুন নতুন প্রযুক্তির খবর পাই৷ স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, টেলিভিশন, ক্যামেরা – যাই বলুন না কেন, প্রতিটির ক্ষেত্রেই নতুন নতুন সংস্করণ আসছে নিয়মিত৷ এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের যেমন ভাল দিক রয়েছে, তেমনি আছে খারাপ দিকও৷ তাই ‘নিরাপদ প্রযুক্তি জীবন’ বিষয়টি এখন আলোচিত হচ্ছে৷ এই কথার মানে যেমন এটা হতে পারে যে, আপনি কীভাবে নিরাপদে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পারেন, তেমনি, এত এত প্রযুক্তি ব্যবহার করেও আপনি কিভাবে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারেন, সেটাও কিন্তু হতে পারে৷ সম্প্রতি বাংলাদেশের কম্পিউটার ও প্রযুক্তিবিষয়ক অনলাইন নিউজপোর্টাল টেকজুম২৪ডটকম অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানি এভিজির সঙ্গে মিলে ‘নিরাপদ প্রযুক্তি জীবন’ শীর্ষক একটি ব্লগ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল৷ দেশব্যাপী নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্যই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ এর আওতায় গত জুলাই ও আগস্ট, এই দুই মাস ধরে লেখা আহ্বান করা হয়েছিল৷ ক’দিন আগে প্রতিযোগিতার ফল ঘোষণা করা হয়৷ এতে মোট চারজন বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হন৷ আব্দুল হালিম তাদের একজন৷ তাঁর লেখার শিরোনাম ছিল, ‘সন্তানের নিরাপত্তায় অভিভাবকদের প্রযুক্তি সচেতনতা৷’ এতে তিনি স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি তুলে ধরেছেন৷ বাকি তিনটি লেখার বিষয় ‘জটিল পাসওয়ার্ড, নিরাপদ ইন্টারনেট জীবন’; ‘এন্টিভাইরাস নামক ভাইরাস থেকে সাবধান!’ এবং ‘অনাকাঙ্খিত বা স্প্যাম মেইল প্রতিরোধ করুন’৷ আব্দুল হালিম তাঁর লেখায় লিখেছেন, ‘‘কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের সুযোগ সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে সন্তানদের আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে অভিভাবকদের কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন থাকাটা জরুরি৷” তিনি বলেন, ব্যাপকহারে কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে শারীরিক ও মানসিক সমস্যার পাশাপাশি সন্তানের লেখাপড়ায় বেশ ক্ষতি হতে পারে৷ সেই সঙ্গে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারেও নানা ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে৷ বিশেষ করে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, প্রাপ্তবয়স্ক সাইটের প্রতি আসক্তি, অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন ছাড়াও নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে৷ হালিম তাঁর লেখায় অভিভাবকদের জন্য করণীয় কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন৷ যেমন কম্পিউটারটি সন্তান কি কারণে ব্যবহার করছে সেটি বিবেচনা করতে হবে৷ শুধু বিনোদনের কথা বিবেচনা করে কম্পিউটার কিনে দেয়া ঠিক হবে না বলে তিনি মনে করেন৷ ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে সার্বক্ষণিক ব্রডব্যান্ড কানেকশনের চেয়ে ডায়ালআপ সংযোগ নেয়াই ভালো৷ এতে অপ্রয়োজনে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা কমবে৷ এছাড়া ইন্টারনেট প্রোভাইডার কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজারের মাধ্যমে ক্ষতিকর ওয়েবসাইটগুলো ব্লক বা বন্ধ করে দিতে হবে৷ সূত্র – DWএর