ডিবি অফিসের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গত এপ্রিল মাসে ১ হাজার ৬৬৫ বোতল ফেন্সিডিল, ৫০ গ্রাম গাঁজা, ৩২ টি ইয়ারা ট্যাবলেট ২ হাজার ৭০০ পিচ ভারতীয় কাপড়, ৮ বোতল মদ, ২ হাজার ২৭০ পিচ ভারতীয় ঔষধ, ১ টি চোরাই প্রাইভেট কার ও ২টি চোরাই মটর সাইকেল উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে উদ্ধার জনিত মামল হয়েছে ১৮ টি ও গ্রেপ্তার হয়েছে ১৮ জন। মে মাসে উদ্ধার হয়েছে ২ হাজার ৯০৬ বোতল ফেন্সিডিল, ১ কেজি ৮৭৮ গ্রাম গাঁজা, ১৫০ কেজি জিরা, ২টি চোরাই মটর সাইকেল। এর মধ্যে উদ্ধার জনিত মামল হয়েছে ১৮ টি গ্রেপ্তার হয়েছে ২১ জন আসামী। জুন মাসে ৮১৯ বোতল ফেন্সিডিল, ৫০ গ্রাম হেরোইন, ২৪ বোতল ভারতীয় মদ, ৫টি চোরাই মটরসাইকেল, ১ টি দেশী তৈরি ওয়ান শুটার গান অস্ত্র, ৫০ বোতল ভারতীয় ঔষধ। এই মাসে উদ্ধার জনিত মামলা হয়েছে ১৬ টি, গ্রেপ্তার হয়েছে ২৩ জন। জুলাই মাসে উদ্ধার হয়েছে ১ হাজার ৭০০ বোতল ফেন্সিডিল, ২৫০ গ্রাম গাঁজা, ৪৩৪ পিচ ভারতীয় শাড়ি, ২০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ১টি দেশী তৈরি পাইপগান। এর মধ্যে উদ্ধার জনিত মামল হয়েছে ২০ টি ও গ্রেপ্তার হয়েছে ২২ জন। আগষ্ট মাসে ৮০০ বোতল ফেন্সিডিল ৫০ পিচ কাপড় ও ৫ লাখ ২ হাজার টাকার জাল নোট রয়েছে। এর মধ্যে উদ্ধার জনিত মামল হয়েছে ১০ টি ও গ্রেপ্তার হয়েছে ১৩ জন। তবে দীর্ঘ ৫ মাসের মধ্যে জাল টাকার কারবারিদের আটকের ঘটনাটি জেলাবাসীকে সাড়া দেয়। কারণ এরআগে জালটাকার এত বড় কারবারিদের আটকের ঘটনা কখনও ঘটেনি সাতক্ষীরায়।
সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন জানান, ডিবি পুলিশ শুধুমাত্র উদ্ধার জনিত মামলা গুলো তদন্ত করে। তাছাড়া পরিবহন সংকট না থাকলে উদ্ধার অভিযানে আরও সফলতা আসত বলে তিনি দাবী করেন। এছাড়াও দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নাশকতা এড়াতে মুল দায়িত্বের পাশাপাশি ডিবি পুলিশকে হরতালসহ বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যদি ডিবি পুলিশকে শুধুমাত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে হত তাহলে এর সফলতা আরও বেশি হত।