সাভারে ফের ভবন ধস-আতঙ্ক

সাভার প্রতিনিধি, জি নিউজঃ- সাভার রানা প্লাজার পাশেই অবস্থিত বাণিজ্যিক ভবন রাজ্জাক প্লাজার নাম। সাভারে রানা প্লাজাধসের রেশ এখনও মিলিয়ে যায়নি। অসংখ্য মানুষ এখনও স্বজনদের খোঁজে ঘুরে ফিরছেন কথিত বধ্যভূমিতে। এরই মধ্যে নতুন করে শিরোনামে এসেছে, তবে এ ভবন ধসে পড়েনি। ধসে পড়ার আগেই সিলগালা করে দিয়েছে প্রশাসন। আর তাতেই তুলকালাম। ওই ভবনের ২টি তৈরি পোশাককলসহ ৩০০ দোকান ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। শুধু তাই নয়, এ ঘটনার জন্য তারা দায়ী করেন গণমাধ্যমকে। মারধর করেন সাংবাদিকদের। তবে এ ঘটনা সাভারবাসীর মনে ভবন-ধস আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। জানা গেছে, ৯ তলা রাজ্জাক প্লাজায় ২৭০টি দোকান ছাড়াও রয়েছে জোভিয়ান সোয়েটার ও আল মুসলিম গ্রুপের ২টি পোশাককল। আল মুসলিম গ্রুপের পোশাককলে ১ হাজার ৬০০ এবং জোভিয়ান সোয়েটারে ৮০০ শ্রমিক কাজ করেন। ৮ তলার অনুমোদন নেওয়া হলেও ভবনটির শীর্ষতলায় ইটের দেয়াল ও টিনশেড দিয়ে শ্রমিকদের ক্যান্টিন নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানকার দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় গতকাল বুধবার সকালে প্রশাসনের কর্মকর্তারা গিয়ে ভবনটির সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। রাজ্জাক প্লাজার ভবনটি পরিদর্শন করে বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের ছাড়পত্র ছাড়া কারখানা ২টি বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রকৌশলীরা। এদিকে রাজ্জাক প্লাজায় ফাটলের ঘটনা শুনে গতকালই ঘটনাস্থলে ছুটে যান রাজধানী  উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তারা। তারা ভবনটি পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে  রাজউকের অথরাইজড অফিসার-৩ মো. হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন,ভবনের মান ভবনের মান পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আবেদন করা হয়েছে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শমতে ভবন সম্পর্কে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাজ্জাক প্লাজার অন্যতম মালিক অলি আহমেদ বলেন, রানা প্লাজাধসের পর আমরা এমনিতেই সতর্ক। কে চায় ভবনচাপা পড়ে মরতে। তিনি বলেন, জেনে-শুনে তো কেউ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ব্যবসা কিংবা কেনাকাটা করতে যাবেন না। উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩১ জন নিহত ও ২ সহস্রাধিক শ্রমিক আহত হন। সকালে ভবন খালি করার পর ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের মুখে বিজিএমইএ, কারখানা পরিদর্শক, পৌরসভার কর্তৃপক্ষ এবং ভবন মালিক ও দোকান মালিক সমিতির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে স্থানীয় প্রশাসন।

Exit mobile version