আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ- মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সিরিয়ার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সন্ত্রাসীদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেয়ার খাতে বরাদ্দের জন্য আমেরিকার সংসদ কংগ্রেসের কাছে ৫০ কোটি ডলার চেয়েছেন।পবিত্র রমজান মাসের প্রাক্কালে (গত বৃহস্পতিবার) কংগ্রেসের কাছে এই আবেদন জানান ওবামা। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র মিসেস কেইটলিন হেইডেন বলেছেন, ‘যদিও মার্কিন সরকার এখনও এ বিশ্বাস বজায় রাখছে যে সিরিয়ার সংকটের কোনো সামরিক সমাধান নেই এবং সেখানে মার্কিন সেনা পাঠানো উচিত হবে না, তবুও ওবামার এই আবেদন সিরিয়ার জনগণের প্রতি সহায়তার আরো একটি পদক্ষেপের দৃষ্টান্ত।’ মার্কিন সংসদের উচ্চ কক্ষ সিনেট এরিমধ্যে আসাদ বিরোধী সন্ত্রাসী ও বিদ্রোহীদের অস্ত্র, রসদ ও প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে। মার্কিন সরকার সিরিয়ার সন্ত্রাসীদের অর্থ ও অস্ত্র- দুইই দিয়ে আসছে।মার্কিন সরকার নিজেকে সন্ত্রাস বিরোধী সরকার বলে দাবি করে থাকে এবং ওবামাও নিজেকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের প্রধান নেতা হিসেবে জাহির করে থাকেন। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, সিরিয়ার ‘পাশ্চাত্যপন্থী বা মধ্যপন্থী বিদ্রোহীরা’ আমেরিকার দেয়া অস্ত্রের মাধ্যমে দেশটির আসাদ সরকারকে উৎখাত করতে পারতো-এমন ধারণা মোটেই সত্য নয়, বরং আকাশ-কুসুম কল্পনা মাত্র। সিবিএস নিউজ-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওবামা এই মন্তব্য করেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, সিরিয়ায় আগ থেকেই তৈরি হয়ে থাকা ‘পশ্চিমাপন্থী বা মধ্যপন্থী বিদ্রোহীরা’ আমেরিকার দেয়া অস্ত্রের মাধ্যমে কোনো না কোনোভাবে আসাদকে পরাজিত করতে পারতো-এমন ধারণা মোটেই সত্য নয়; প্রতিবেদনটি রেডিও তেহরানএর, “আপনারা জানেন, আমরা সিরিয়ার উদারপন্থী বিদ্রোহীদের সঙ্গে কাজ করার জন্য অনেক সময় ব্যয় করেছি (কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি)।