সিলেট নগরীতে প্রকাশ্যে নারী নির্যাতনে প্রতিবাদের ঝড়

অনলাইন ডেস্ক:- সিলেট নগরীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা আম্বরখানায় রাস্তায় এক নারীকে পেটানোর ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ওই নারীকে পেটানোর ছবি ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে ঘুরছে ফেইসবুকের প্রোফাইলে প্রোফাইলে।
ওই নারীকে পেটানোর জন্য টেইলার্স মালিক তপু আহমদকে গ্রেপ্তারের দাবিও উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
নারীকে পেটানোর ছবি নিজের ফেইসবুক পাতায় শেয়ার করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
তিনি লিখেছেন, “এই বর্বরতার শেষ কোথায়? সিলেটে এবার প্রকাশ্যে নারী নিপীড়ন!
“নিপীড়ক সিলেটের আম্বরখানার টেইলার্স মালিক তপুকে আজ রাতের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হোক। এইসব ধৃষ্টতার উপযুক্ত জবাব চাই। পুলিশ ধরতে না পারলে সমাজের সাহসী মানুষদের কাছে আর্জি, এই নরপিশাচকে দিনের আলো ফোটার আগেই পুলিশে সোপর্দ করুন। এই অমানুষদের বিরুদ্ধে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলেই প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।”
ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে কালো রঙের বোরকা পরা এক নারীকে মারধর করছেন তপু। আশপাশে অনেকে দাঁড়িয়ে তা দেখছেন, সড়কে তখন গাড়িও চলছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আম্বরখানা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
হামলাকারী ব্যবসায়ী তপু স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ তোফায়েল আহমদ সেফুলের ভাই। সেফুল প্রজন্ম লীগের সিলেট মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি।
এ ঘটনার পর পুলিশ ওই ব্যবসায়ীকে থানায় নিয়ে গেলেও পরে ছেড়ে দেয়। ওসির দাবি, মেয়েটি পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আম্বরখানা সেন্ট্রাল প্লাজার সামনে তপু ওই নারীকে মারধর করলে ওই এলাকায় কর্তব্যরত হাবিলদার নাজিম উদ্দিন এসে দুজনকে আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান।
মারার কারণ জানতে চাইলে তপু প্রত্যক্ষদর্শীদের বলেন, ওই নারী তার মালিকানার তপু টেইলার্সে কাজ করতেন। কয়েক দিন আগে সেলাই করে দেওয়ার কথা বলে কাপড় নিয়ে গিয়ে আর তার দেয়নি।
মঙ্গলবার এসে কাপড় ফেরত না দিয়ে ‘উল্টাপাল্টা’ কথা বলায় মারধর করেন বলে তপুর দাবি।
তবে ওই নারীর অভিযোগ করেছেন, তার কয়েক মাসের বেতন পাওনা। বারবার ধর্না দিয়েও তিনি তা পাচ্ছেন না। মঙ্গলবার টাকা চাইতে এলে তপু প্রথমে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। পরে রাস্তায় ফেলে তাকে মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে হাবিলদার নাজিম উদ্দিন বলেন, “জনতা এক ব্যবসায়ী ও এক নারীকে ঘিরে রেখেছে দেখে আমি দুজনকে ফাঁড়িতে নিয়ে যাই। এরপর আর কী হয়েছে, তা আমার জানা নেই।”
বিমানবন্দর থানার ওসি গৌসুল হোসেন বলেন, “তাদের থানায় আনা হলে সমঝোতা করে দিয়ে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।খবরঃকালের কণ্ঠ, ওই নারী কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Exit mobile version