অনলাইন ডেস্ক :-সব মানুষই সুখের পেছনে ছোটে। কিন্তু সুখ সবার ভাগ্যে জোটে না। তবুও সুখী হওয়ার জন্য চলে নিরন্তর চেষ্টা। গবেষকেরা বলছেন, সুখের পেছনে হরদম ছোটা-ছুটির দরকার নেই। দরকার নেই অঢেল টাকা-কড়ি বা বিলাসিতা। সাধারণ কিছু কৌশল অবলম্বন করেই সুখী হওয়া যায়।বিভিন্ন গবেষণার বরাত দিয়ে গতবুধবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সুখী হওয়ার কিছু সহজ কৌশল উল্লেখ করা হয়েছে। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো—থিয়েটারে যাও-সান ফ্রানসিসকো স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ছুটি কিংবা অবসরের দিনগুলোতে থিয়েটারে গেলে মন ভালো হয়ে যায়। তাই সুখী হওয়ার জন্য অর্থ ব্যয় করে বিলাসী পণ্য না কিনে থিয়েটারের টিকিট কেনাই ভালো।বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা-ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েসের গবেষকেরা দাবি করেছেন, বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে সময় কাটালে মনে সুখ আসে। খাওয়া-দাওয়া করতে বাইরে না গিয়ে ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করা উচিত।পড়ুন –ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের গবেষকদের মতে, অসুখী মানুষ বেশি টিভি দেখে। সুখের সঙ্গে বই বা গল্প পড়ার সম্পর্ক রয়েছে। তাই বেশি করে বই পড়ুন, সুখী হন।ব্যাংক ব্যালেন্স পরীক্ষা-টাকা দিয়ে সব সময় সুখ কেনা যায় না। ব্যাংকে ভূরি ভূরি টাকা জমিয়েও সুখী হওয়া যায় না। তবে এক জরিপে দেখা গেছে, অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ে, ভালো থাকার অনুভূতি সৃষ্টি হয়।মহত্ কর্ম –
জীবনের কত গুরুত্বপূর্ণ সময় হেলায়, বাজে কাজে কিংবা অলসতায় কেটে যায়। জার্নাল অব সোশ্যাল সার্ভিস রিসার্চের প্রকাশিত এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, স্বেচ্ছাসেবা, মানবসেবার মতো মহত্ উদ্যোগ মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, মানুষকে সহজেই সুখী করে।মিছে হাসি-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, কার্টুন দেখে ভ্রূ কুচকে অনুভূতি প্রকাশকারী শিক্ষার্থীরা ক্রোধ অনুভব করেন। কিন্তু যাঁরা মিছে হাসি হেসে হলেও তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করেন, তাঁরা সুখ অনুভব করেন। সূত্র- ইন্টারনেট তাঃ- ০১ ফেব্রুয়ারী ২০১৪।
সুখের সন্ধানে
Share This