তথ্য ডেস্কঃ- মোবাইল আসার পর থেকে ধীরে ধীরে ঘড়ির চাহিদা কমে গেলেও আভিজাত্যের কথা ভাবলে এবং ভালো উপহারের কথা ভাবলে এখনো ঘড়ির কথাই ভাবেন সবাই৷ আর এ কারণেই হয়ত সুইস কোম্পানিগুলোর স্মার্টওয়াচ তৈরিতে কোনো আগ্রহ নেই কিছু কোম্পরানি স্মার্টওয়াচে বেশ বিনিয়োগ করছে।শত শত বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সুইস ঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো খুব সহজেই প্রযুক্তিগত ফ্যাশানের দিকে ঝুঁকতে পারে৷ যেমন স্মার্টওয়াচ৷ হাতে কব্জিতে লাগানো যে ঘড়িটি ছোট একটা কম্পিউটারের কাজ করবে৷ তবে সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়ে দিয়েছে স্মার্টওয়াচ তৈরির কোনো পরিকল্পনা এখন তাদের নেই৷স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি থেকে শুরু করে সনি কর্প কোম্পানিগুলো গবেষণায় ব্যস্ত ঘড়িতে কী কী প্রযুক্তি যুক্ত করলে তা ভোক্তাদের কাছে জনপ্রিয়তা পাবে৷ আর সে সব প্রস্তাব নিয়ে তা হাজির হচ্ছে বিখ্যাত সুইস ঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর দোড়গোড়ায়৷ কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না৷ সোয়াচ গ্রুপ এসএ-র টিসো ব্র্যান্ডের প্রধান ফ্রঁসোয়া টিবো রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘‘স্মার্টওয়াচ নিয়ে অনেক হৈচৈ হচ্ছে, কিন্তু এখনো কারো হাতে আমরা এই ঘড়ি দেখতে পাইনি৷ ক্রেতাদের চাহিদা নেই এমন কোন কিছু আমরা তৈরি করতে চাই না৷ তাই গেজেট সমৃদ্ধ কোনো ঘড়ি তৈরির পরিকল্পনা এখন আমাদের নেই৷”অ্যারমেস ইন্টারন্যাশনাল এসএ গ্রুপের দুটি কোম্পানি পাটেক ফিলিপ এবং লা মঁত্র অ্যারমেস৷ তাদের মালিকরাও জানালেন, স্মার্টফোনকে তাদের ব্যবসার জন্য হুমকি মনে করছেন না৷ তারা মনে করেন, তরুণ প্রজন্ম ভিন্ন ধরনের ঘড়ির প্রতি ঝুঁকলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে আভিজাত্যপূর্ণ একটি ঘড়িই তারা চাইবে৷সোয়াচ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী নিক হায়েক গত সপ্তাহে বলেছিলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘড়ি নির্মাতা এই প্রতিষ্ঠানকে অনেক টেকনো কোম্পানি প্রস্তাব দিচ্ছে যাতে তারা স্মার্ট ওয়াচ বানায়৷ নিক হায়েক জানালেন, তাদের বর্তমান যে বাজার ২০১৭ সালের মধ্যে তা ৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে৷ তবে সোয়াচ গ্রুপের সোয়াচ ব্র্যান্ড সম্প্রতি নতুন মডেলের একটি ঘড়ি বাজারে ছেড়েছে যেটি ব্লুটুথের সাহায্যে স্মার্টফোনের সাথে সংযুক্ত হতে পারে৷ন।সূত্র-ডি ডাব্লিউ