হংকংয়ের কাছে হেরে এশিয়ান গেমস থেকে বিদায় বাংলাদেশের
অনলাইন ডেস্ক:- পুরো ম্যাচে ভালো খেলেও শেষ পর্যন্ত হংকংয়ের সাথে পেরে উঠলো না বাংলাদেশ। বাঁচা মরার এই লড়াইয়ে হসিউং মেইন স্টেডিয়ামে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ২-১ গোলে পরাজিত হয়ে হতাশ হতে হয়েছে লাল সবুজ শিবিরকে। সেই সাথে বিদায় ঘটেছে ১৭তম এশিয়ান গেমসের আসর থেকে।
অনেক প্রত্যাশার এই ম্যাচটিতে হংকংয়ের বিপক্ষে দারুণ ম্যাচ উপহার দিয়েছিল লুডভিক ডি ক্রুইফের শিষ্যরা। বিশেষ করে মিডফিল্ডার জাহিদ হোসেনের কথা আলাদাভাবে না বললেই নয়। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে তিনি প্রতিপক্ষ শিবিরে বেশ কয়েকবারই আক্রমণ চালিয়েছেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল না। তারই সহযোগিতায় অবশ্য আমিনুর রহমান সজিব বাংলাদেশের পক্ষে এক গোল পরিশোধ করেন।
এই ম্যাচটি উভয় দলের জন্যই ছিল দারুন গুরুত্বপূর্ণ। শেষ ১৬-এ যেতে হলে উভয় দলের সামনেই জয়েল বিকল্প ছিল না। তবে হংকং আগের দুই ম্যাচে একটিতে জয় ও একটিতে ড্র নিয়ে বাংলাদেশের তুলনায় এক পয়েন্ট এগিয়ে ছিল। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের সাথে জিতলেও পরের ম্যাচে শক্তিশালী উজবেকিস্তানের বিপক্ষে হেরে শেষ ১৬’র অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু আজকের ম্যাচে পরাজিত হয়ে সব আশা শেষ হয়ে গেল। এই গ্রুপ থেকে উজবেকিস্তান ও হংকং শেষ ১৬ নিশ্চিত করেছে।
যদিও এই ম্যাচটি দারুন একটি সন্তুষ্টির জায়গায় নিয়ে গেছে কোচ ডি ক্রুইফকে। ম্যাচ শেষে তিনি আজকের ম্যাচটিতে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত ফুটবলের দারুন প্রশংসা করেছেন। অপেক্ষাকৃত তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত দলটি এভাবে যে নিজেদের মেলে ধরতে পারবে তাতেই তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এদের মাধ্যমেই ভবিষ্যত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি তিনি দেখতে পাচ্ছেন। যদিও ম্যাচটি হাতছাড়া হওয়ায় অন্যান্যদের মত তিনিও হতাশ। একজন ভালোমানের স্ট্রাইকারের অভাব আবারো বাংলাদেশ দলে ফুটে উঠেছে। ডি ক্রুইফ মনে করেন এই সমস্যা আগেও ছিল। এই জায়গাটিতে অনেক কাজ করতে হবে। ঘরোয়া ফুটবলে ভাল মানের স্ট্রাইকার বলতে একমাত্র জাহিদ হাসান এমেলি রয়েছেন, বাকি জায়গাগুলো বিদেশীদের দখলে। কিন্তু এই সমস্যার সমাধানে তিনি সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। খেলোয়াড়দের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোরও দাবী জানান তিনি।
এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সুযোগ হাতছাড়া করার কোন অবকাশ নেই। কিন্তু বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি আক্রমন নষ্ট হয়েছে যা ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। প্রথমার্ধের পুরোটাজুড়েই উভয় দল একে অপরের শিবিরে খুব একটা ভালো আক্রমণ চালাতে পারেনি। অপরের রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিতে তা যথেষ্ট ছিল না। তবে দুই দলের মধ্যেই জেতার তাগিদ দেখা গেছে। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য শুরতেই ডেডলক ভাঙতে সক্ষম হয় হংকং। ৫৩ মিনিটে জটলার মধ্য থেকে হেডের সাহায্যে দলকে এগিয়ে দেন ক্রিস্টিয়ান কেওসি আনান। ৭৩ মিনিটে ডান দিক থেকে তান চুনের কর্ণার হেডের সাহায্যে জালে জড়ান হয় হেই লাম। দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও বাংলাদেশ ম্যাচের শেষ পর্যন্ত ছেড়ে কথা বলেনি। তারই ফলস্বরুপ ৭৭ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে জাহিদের জোড়ালো শট হংকংয়ের গোলরক্ষক ইয়াপ হুং ফাই ধরতে ব্যর্থ হলে সেই সুযোগে সজিব জালে বল পাঠিয়ে এক গোল পরিশোধ করেন।খবর:রেডিও তেহরান, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠেনি ডি ক্রুইফ শিষ্যরা।