সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ভারত ভাগের পর টাকীর জমিদারসহ প্রধান প্রজা চন্ডীচরন ঘোষ ভারতে চলে যান। এসময় চন্ডীচরনের পার“লিয়া মৌজার সাবেক ১৮৫২ নং খতিয়ানে এক হাজার চারশত বিঘা জমি অব্যাবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকে। পরে ভারত থেকে চলে আসা দেবহাটার গাজীরহাটের জনৈক আবদুল মালেক ৬২ সালে ওই সম্পত্তি জাল জালিয়াতি করে অরেজিস্ট্রিকৃত বিনিময় দলিল সৃষ্টি করেন। এরপর তৎকালিন জরিপে সেটেলমেন্ট কর্মকর্তারা তার বাড়ীতে অবস্থান করার সুযোগে তিনি ওই সম্পত্তি এসএ রেকর্ডভুক্ত করতে স¶ম হন। পরে তিনি ওই সম্পত্তি নিজে কিছু রেখে অন্যত্র বিক্রি করে দেন। প্রায় দু’দশক শতাধিক ব্যাক্তি এভাবেই ভোগ দখলের মাধ্যমে মাছের ঘের করে আসছেন বিপুল পরিমান এই সম্পত্তিতে। বর্তমান সরকার ¶মতায় আসার পর সাত¶ীরা জেলার সরকারী কৌশলী গাজী লুৎফর রহমান দেবহাটার রহিমপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলী গাজীকে বাদী শ্রেনীভুক্ত করে সাবজজ-২ আদালতে জন¯^ার্থে এবং সরকারী ¯^ার্থে ১নং খাস খতিয়ান করার জন্য দেওয়ানী মোকদ্দমা (১৮/১০) দায়ের করেন। গত বছরের ৯ জানুয়ারী বিজ্ঞ বিচারক মাহমুদুর রহমান নালিশী সম্পত্তিতে তত্ত¡াবধায়ক নিয়োগের আদেশ দেন। বিবাদীগন ওই আদেশের বির“দ্ধে হাইকোর্টে মোকদ্দমা করে রিসিভার আদেশ স্থগিতের আবেদন করলে মহামান্য হাইকোর্ট স্থিতিবস্থার নির্দেশ দেন। এর বির“দ্ধে সরকার প¶ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে হাইকোর্টের স্থিতিবস্থার আদেশ স্থগিতের আবেদন করেন। এর প্রে¶িতে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ গত বছরের ৬ আগষ্ট হাইকোর্টের স্থিতিবস্থার আদেশ ফের স্থগিত করেন। এ্যাডভোকেসি অন রেকর্ড সার্টিফিকেট অনুযায়ী আপিল বিভাগের স্থিতিবস্থা আদেশ সর্বদা চলমান। উচ্চ আদালতের এ আদেশ অনুযায়ী সাত¶ীরা যুগ্ন জেলা জজ (২) রিপতি কুমার বিশ্বাসের আদালতে তত্ত¡াবধায়কগন যাতে জমি দখলে নিতে পারেন তার জন্য বারবার আবেদন করলেও সেটি বিচ্ছিন্ন কারণে নামঞ্জুর আদেশ দেয়া হয়। ফলে বাদী ¶ুব্ধ হয়ে আবারো সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন যার নং মিস ১৩/১৩। এভাবেই আইনী জটিলতায় দেড় হাজার বিঘা জমি বছরের পর বছর রয়ে যাচ্ছে অবৈধ দখলদার নামক ভূমিদস্যুদের হাতে। এদের কবল থেকে বিপুল পরিমান এই জমি উদ্ধার করে খাস খতিয়ানভুক্তির মাধ্যমে ভূমিহীনদের মাঝে বিতরন করা গেলে এতদাঞ্চলের বহু ছিন্নমুল মানুষকে পুনর্বাসন করা সম্ভব বলে মনে করেন সচেতনমহল।
এবিষয়ে খলিসাখালি ঘেরের একাংশের মালিক আনসার আলী বলেন, শতাধিক লোক দীর্ঘদিন ধরে খলিসাখালিতে মাছের ঘের করে আসছেন। এসম¯— লোকের কাগজপত্রাদি সঠিক আছে বলে তিনি দাবী করেন। সুপ্রীম কোর্টের আদেশের বিষয়ে তিনি স্পষ্ট কিছু জানেন না বলে জানান।
সার্বিক বিষয়ে সরকারী কৌশলী গাজী লুৎফর রহমান বলেন, দেশের সর্বোচ্ছ আদালতের আদেশ মানছেন না নি¤œ আদালত। এটা দুঃখজনক। তিনি আরো বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের আলোকে জমিগুলো উদ্ধার করা গেলে সরকারী খাতে প্রতিবছর প্রায় তিন কোটি টাকার রাজ¯^ জমা হতো। কিন্তু নানা কৌশলে সেই টাকা সরকারের ঘরে জাম না দিয়ে কারও না কারওর পকেটে যাচ্ছে।
কাজী নাসির উদ্দীন/ সাতক্ষীরা/জি নিউজ