হিন্দুদের শারদীয় দূর্গা উৎসব বাকি মাত্র ১৪দিন

কাজী নাসির উদ্দীন, সাতক্ষীরাঃসনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গা পূজা। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এপূজার মহা ষষ্টী। শারদীয় দূর্গাৎসব উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এবার জেলার ৭ টি উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৩৬ টি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে কোন ঝুকি নেই এমন সাধারণ মন্ডপের সংখ্যা ২৮১টি, গুরুত্বপূর্ণ ১৪৭টি ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে ১০৮টি। প্রতিটি মÊপে এবার শ্রেণি অনুযায়ী নিরাপত্তার লক্ষে আইনশৃক্সখলা বাহিনী কঠোরভাবে অবস্থান করবে বলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত শারদীয় দূগা উৎসব পালনে ৫৩৬টি পূজা মন্ডপ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদরে সাধারণ ৫৪টি, গুরুত্বপূর্ণ ৪০টি ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ১৬টি মোট ১১০টি। কলারোয়া উপজেলায় সাধারণ ৪টি, গুরুত্বপূর্ণ ১০টি ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ২১টি মোট ৩৫টি। তালা উপজেলায় সাধারণ ৭৫টি, গুরুত্বপূর্ণ ১৯টি ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ১৩টি মোট ১০৭টি। পাটকেলঘাটা থানার আওতায় সাধারণ ৪০টি, গুরুত্বপূর্ণ ১২টি ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ২৩টি মোট ৭৫টি। দেবহাটা উপজেলায় সাধারণ ৯টি, গুরুত্বপূর্ণ ৫টি ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ৫টি মোট ১৯টি। আশাশুনি উপজেলায় সাধারণ ৪৫টি, গুরুত্বপূর্ণ ১৬টি ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ১৯টি মোট ৮০টি। কালিগঞ্জ উপজেলায় সাধারণ ২১টি, গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ১২টি মোট ৪৮টি এবং শ্যামনগর উপজেলায় সাধারণ ৩৩ টি, গুরুত্বপূর্ণ ১৬টি ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ১৩টি মোট ৬২টি পূজা মন্ডপে এবারের পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রশ্নে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, প্রতিটি সাধারণ পূজা মন্ডপে পুরুষ আনছার ২ জন, মহিলা আনছার ২ জন ও তাদের টিম লিডার হিসেবে এপিসি ১ জন করে মোট ৫ জন করে নিরাপত্তা প্রদান করবেন। একই সাথে গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপে পুরুষ ৩ জন, মহিলা ৩ জন ও টিম প্রধান এপিসি ১ জন মোট ৬ জন করে। পাশাপাশি অধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপে পুরুষ ৪ জন, মহিলা ৩ মহিলা ও দলীয় প্রধান এপিসি ১ জন মোট ৮ জন করে নিরাপত্তা প্রদান করবেন। এর সাথে পুলিশের এসআই বা এএসআই এর নেতৃত্বে পৃথক টি মাঠে কাজ করবেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হবে। এবারই প্রথম বিট অনুযায়ী গ্রাম পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্য স্বেচ্ছা সেবি দল, পূজা কমিটি ও র্যা বের পৃথক টিম কাজ করবেন।
সূত্রটি আরও জানায়, কারুর জন্যে কোথাও নিরাপত্তার অভাব মনে হলে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিতরা তাকে ধরে পুলিশ বা ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করলে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে বিচারের মাধ্যমে জেল জরিমানার ব্যবস্থা রয়েছে।

Exit mobile version