১৯-এর তরুণীর যৌনতার ফাঁদে, খুন ২৩ যুবক

girl.jpg18অনলাইন ডেস্কঃ- ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতার নিদর্শন। তবে এই বর্বরতা ভারতের প্রত্যন্ত কোনো গ্রামে ঘটেনি। বরং এমন একটি দেশে ঘটেছে, যেখানে সর্বত্র শিক্ষার আলো পৌঁছেছে। যে দেশ প্রথম বিশ্বে শামিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া।২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে সানবারিতে একটি বাড়ির  পেছন থেকে ৪২ বছরের ট্রয় লাফেরারার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ মৃতের মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখে।খবর এই সময়এর, সেখান থেকেই পুলিশ মিরান্ডা বার্বর নামের এক কিশোরীর পরিচয় পায়। মিরান্ডাকেই শেষ বারের মতো ফোন করেছিলেন ট্রয়। এর পর পুলিশ মিরান্ডাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাঁকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত করে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।অবশেষে ঝুলি থেকে বেড়াল বের করে মিরান্ডা। যা শুনে যে কেউই আঁতকে উঠতে পারেন। মিরান্ডা জানিয়েছেন, শুধু ট্রয়কেই নয়। বরং গত ৬ বছরে ট্রয়ের মতো প্রায় ১০০ জনকে হত্যা করেছেন তিনি। একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া নিজের সাক্ষাৎকারে এমনই জানিয়েছেন মিরান্ডা। তবে সংখ্যাটা ঠিক মনে করতে পারেননি তিনি। কারণ ২২টি খুনের পরই মিরান্ডা গোনা বন্ধ করে দেন। ফলে ঠিক কত জনকে খুন করেছেন, তা জানা যায়নি।ট্রয় লাফেরারা হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানা গেছে, হত্যায় তাঁর স্বামীও যুক্ত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, এক সঙ্গে কাউকে হত্যা করার ইচ্ছা ছিল ওই দম্পতির। ঘটনার তিন সপ্তাহ আগেই ২২ বছরের এক যুবককে বিয়ে করে মিরান্ডা। এর পরই তাঁরা উত্তর ক্যারোলিনা থেকে পেনসিলভানিয়ায় যান। পুলিশ জানিয়েছে, মিরান্ডার ২২ বছরের স্বামী ট্রয়কে গাড়িতে আটকে রাখে, তাঁর পর মিরান্ডা তাঁর শরীরে ২০ বার ছুরির কোপ বসান। জানা গেছে, ক্রেগ্সলিস্ট নামের একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ‘বন্ধুত্ব’র জন্য বিজ্ঞাপন দেন মিরান্ডা। ১০০ ডলারের বিনিমময়ে তাঁর সঙ্গে সেক্স করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন মিরান্ডা। সেই ফাঁদে পা দিয়েই প্রাণ হারাতে হয় ট্রয়কে।মিরান্ডা জানিয়েছেন, ১৩ বছর বয়সে প্রথম খুন করেন তিনি। তখন থেকেই একটি গুপ্ত সমিতির সদস্যপদ গ্রহণ করেন। গত ছয় বছরে আলাস্কা, টেক্সাস, উত্তর ক্যারোলিনা এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় এই খুনগুলো করেন তিনি। পুলিশ সেসব অঞ্চলে গিয়েও তদন্ত চালাচ্ছে।এ ব্যাপারে নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অপরাধ বিশেষজ্ঞ জ্যাক লেভিন বলেন, ‘সে একজন সিরিয়াল কিলার। এমন এ পরিস্থিতিতে সবকিছুই সম্ভব।’ তবে তিনি এ-ও বলেন, খুব কম মহিলাই সিরিয়াল কিলার হয়ে থাকেন এবং তাঁরা ছুরি ব্যবহার করেন না।উল্লেখ্য মিরান্ডা ট্রয় হত্যাকাণ্ডে ছুরিই ব্যবহার করেছেন।  সূত্র-ইন্টারনেট তাঃ-১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪।

 

 

Exit mobile version