২৫ জানুয়ারী খান এ সবুব এর ৩২তম মৃত্যু বার্ষিকী

আগামী ২৫ জানুয়ারী ২০১৪ শনিবার উপ-মহাদেশের সংসদীয় রাজনীতির কিংবদন্তী তদাধীন জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বাংলাদেশ মুসলিম লীগের পূণর্গঠনের মহানয়ক খান এ সবুব এর ৩২তম মৃত্যু বার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ২৫ জানুয়ারী শনিবার নয়া পল্টনাস্থ মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট নুরুল হক মজুমদার, প্রধান বক্তা থাকবেন দলীয় মহাসচিব আলহাজ্ব কাজী আবুল খায়ের। বক্তব্য রাখবেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও দলীয় নেতৃবৃন্দ। খান এ সবুর ১৯১১ সালে ১লা ফেব্ররুয়ারী সাবেক খুলনা বর্তমান বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার আট টাকা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা নাজমুল হোসেন খান ছিলেন একজন আইনজীবী। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট সাবেক খুলনা জেলা বর্তমান বাগের হাট, সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জের কিছু অংশ হিন্দু স্থানের অন্তর্ভূক্ত হয়েছিল তখন খান এ সবুর রাজনৈতিকভাবে আন্দোলন করে এবং বাউন্ডারী কমিশনে আপ্রীলের মাধ্যমে ১৯৪৭ এর ১৭ আগষ্ট বিকালে আল ইন্ডিয়া রেডিও ঘোষণা করেন বৃহত্তর অঞ্চল ও গোপালগঞ্জের কিছু অংশ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। যারই ধারাবাহিকতায় আজকে ঐ সব অঞ্চল স্বধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অংশ। মরহুম খান এ সবুর ১৯৬২ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী ও তদানীন্তন জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ট দলের নেতা ছিলেন খান এ সবুর। খান এ সবুরের নেতৃত্বে ১৯৭৬ সালের ৮ই আগষ্ট মুসলিম লীগ পুণর্গঠিত হয়। খান এ সবুর ১৯৭৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে ৩টি আসনে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়ে এ দেশে সংসদীয় রাজনীতির বিরল ইতিহাস সৃষ্টি করেন। এর পূর্বে কেউ ৩টি আসনে বিজয় হননি। খান এ সবুর ১৯৮২ সালের ২৫ জানুয়ারী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি মৃত্যুর পূর্বে তার অস্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পদ খান এ সবুর ট্রাস্ট নামে জনকল্যাণে দান করে যান। তারই ঢাকার বাড়ীতে আজ বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত।

Exit mobile version