আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- ইরাকের উত্তরাঞ্চলে দু’জন মহিলা ডাক্তার ও একজন রাজনীতিকসহ চার নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল। নিহতদের স্বজন ও মানবাধিকার কর্মীরা গতকাল শনিবার এ খবর জানিয়েছেন। আল-আমাল মানবাধিকার সংস্থার প্রধান হানা এদওয়ার জানিয়েছেন, ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহরে বুধবার দু’জন মহিলা ডাক্তারসহ তিন নারীর মস্তক বিচ্ছিন্ন করে আইএসআইএল। মসুলের একটি হাসপাতাল সূত্র তাদের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে বলেছে, নিহত দুই ডাক্তারের নাম মাহা সাভান ও লামিয়া ইসমাইল। তৃতীয় নারী একজন আইনজীবী।এর আগে গত ৫ অক্টোবর তাল আফার শহরের তুর্কম্যান রাজনীতিবিদ ও সাবেক সুন্নি সংসদ সদস্য ইমান মোহাম্মাদ ইউনুসের শিরোশ্ছেদ করে তাকফিরি সন্ত্রাসীরা। ইরাকের সংখ্যালঘু তুর্কম্যান জনগোষ্ঠীর অধিকার আন্দোলনের নেতা আলী আল-বায়াতি জানিয়েছেন, নারী সংসদ সদস্য ইমান মোহাম্মাদ ইউনুসকে গতমাসে ধরে নিয়ে যায় আইএসআইএল। চলতি সপ্তাহে তার পরিবারকে জানানো হয় ইমানকে হত্যা করা হয়েছে।আল-বায়াতি জানিয়েছেন, হত্যা করার পর ইমানের লাশ তাল আফারের বাইরে একটি কুয়ার মধ্যে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। এ হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে আল-আমাল মানবাধিকার সংস্থার প্রধান হানা এদওয়ার বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে আরো চার নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে আইএসআইএল। নিহত ওই চারজনের মধ্যে স্থানীয় পরিষদের একজন সাবেক প্রার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক রয়েছে। এদওয়ার বলেন, আইএসআইএলের সহজ টার্গেটে পরিণত হচ্ছে নারীরা। মসুল থেকে বহু নারী মানবাধিকার কর্মী পালিয়ে গেছেন। কিন্তু নিজ শিশুদের সঙ্গে অনেক নারীকে থেকে যেতে হয়েছে। তাদেরকে ধরে নিয়ে হত্যা করছে সন্ত্রাসীরা। গত ১০ জুন পশ্চিমা মদদপুষ্ট তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহর দখল করে নেয় এবং এখনো এটির নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে রয়েছে। এদওয়ার জানান, “জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যার পর এখন তারা সরকারের ঘনিষ্ঠ সুন্নি নারীদের টার্গেট করছে। আমার মনে হয়, প্রকাশ্যে নারীদের হত্যা করে তারা জনসাধারণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়।” গত ২২ সেপ্টেম্বর নারী মানবাধিকার কর্মী সামিরা সালেহ আল-নুয়াইমিকে হত্যা করে আইএসআইএল।খবর:রেডিও তেহরান, তার অপরাধ ছিল তিনি এ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে মুসলিম ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলো ধ্বংসের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছিলেন।