ও লঞ্চ থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানান, সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাস ও লঞ্চ চালালে লাইসেন্স বাতিল এবং চালক ও হেলপারদের মারধর করার হুমকি দিয়েছেন আওয়ামীপন্থী পরিবহন নেতারা। এ হুমকিতে ভীত হয়ে যানবাহন চলাচল ও টিকিট বিক্রির কাউন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। মুসল্লিরা যাতে লঞ্চ ছাড়তে বাধ্য করতে না পারে সেজন্য নৌবন্দর থেকে লঞ্চ সরিয়ে রাখা হয়েছে। তবে পরিবহন নেতারা দাবি করেছেন, নিরাপত্তার কারণে বাস-লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাস-লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় হেঁটে ঢাকায় আসছেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। বিকল্প পন্থায় ঢাকাগামী হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের পথে পথে বাধা দেয়া হয়েছে। ঘটেছে সশস্ত্র হামলার ঘটনা। দিনাজপুর, ফেনী, খুলনা, নাটোর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মাওয়া, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়াসহ অনেক স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হেফাজতে ইসলামের সমর্থকদের বহনকারী বাস আটক করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ফেরত যেতে বাধ্য করেছে। অন্যথায় ‘নাশকতা’ মামলায় গ্রেফতার করার হুমকি দেয়া হয়। সরকারদলীয়রা কয়েকটি স্থানে মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বহনকারী বাস ও মাইক্রোবাস ভাংচুর করেছে। এসব বাধা সত্ত্বেও প্রতিটি জেলা থেকে হেঁটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন মানুষ। বিভিন্ন জেলায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন মুসল্লিরা।
জি নিউজ বার্তা /০৬-০৪-২০১৩