রাজনগরে তৃতীয় শ্রেনীর স্কুলছাত্রী ধর্ষন ঘটনায় অবশেষে মামলা।।১৩ দিন পর মেডিকেল পরিক্ষা সম্পন্ন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি,জি নিউজ ঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার গবিন্দপুর গ্রামে বহুল আলোচিত শিশু ধর্ষনের ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকের দেয়া তথ্য মতে অবশেষে রাজনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দীন স্থানীয় মেম্বার মইনুদ্দিনের সহায়তায় শিশুটিকে কমলগঞ্জ উপজেলার শমসের নগর থেকে কৌশলে থানায় হাজির করে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ৫ এপ্রিল মামলা নিয়েছে পুলিশ। এবং দীর্ঘ ১৩ দিন পর ৬ এপ্রিল শনিবার ধর্ষিতা শিশুর মেডিকেল পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে ধর্ষন ঘটনায় এজাহার ভুক্ত আসামী রিয়াজ উদ্দিনের সাথে তার চাচা কদ্দুছ মিয়া জড়িত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে এ মামলায় কদ্দুছকে আসামী না করায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। এলাকাবাসীর দেয়া তথ্য মতে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ঘটনাঠি স্থানীয় মাতব্বররা ধামাচাপা দেবার পরে সাংবাদিকের চুলচেড়া অনুসন্ধান ও শিশু উদ্ধারে পুলিশের কঠোর পদক্ষেপের কারণে নিজের গা বাঁচাতে চালাক-চতুর কদ্দুছ মিয়া বৃহস্পতিবার রাত শমসের নগর গিয়ে শিশুটিকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার নাম না বলতে মোঠা অংকের রফাদফা করে। সে মোতাবেক শুক্রবার শিশুটিকে থানায় হাজির করা হলে পুলিশের কাছে ধর্ষন ঘটনায় রিয়াজ উদ্দীনের নাম উল্যেখ করলেও কদ্দুছ মিয়ার নাম উল্যেখ করেনাই শিশুটি। এদিকে ধর্ষকদের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা গ্রহন করে ঘটনাঠি ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য করা স্থানীয় গ্রাম্য বিচারক বেড়িগাও গ্রামের জিন্দাল মিয়া,রামপুরের জামাল মিয়া সহ অন্যান্য বিচারকরা মামলা রেকর্ডের পর থেকে পলাতক রয়েছে। শনিবার দুপুরে পুলিশ তাদের বাড়ী সহ স্থানীয় মোকামবাজারে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছে বলে স্থানীয় সুত্র জানায়। এদিকে এজাহার ভুক্ত আসামী রিয়াজ উদ্দীন উপজেলা বিএনপি,র একজন প্রভাবশালী নেতার আশির্বাদ নিয়ে খুব শীর্ঘি হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সুত্রে প্রকাশ। উল্যেখ্য, উপজেলার গবিন্দপুর গ্রামের পিতা-মাতা হারা এতিম তৃতীয় শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী গত ২১ মার্চ গরু চড়াতে মাঠে গেলে উক্ত গ্রামের লম্পট রিয়াজ উদ্দীন(৫০) ও কদ্দুছ মিয়া মেয়েটিকে জোর পুর্বক পালাক্রমে ধর্ষন করে।ঘটনাঠি জানাজানি হলে স্থানীয় কয়েকজন গ্রাম্য বিচারক ধর্ষকদের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা গ্রহন করে মেয়ের সৎমায়ের হাতে চল্লিশ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে ৬০ হাজার টাকা তারা ভাগাভাগি করে নিয়ে ঘটনাঠি ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য করে।পরে স্থানীয় সাংবাদিক মৌলভীবাজার জি নিউজ বিডি ডটনেটের সাংবাদিক আব্দুল হাকিম রাজের অনুসন্ধানে পুলিশের কাছে দেয়া তথ্যমতে অবশেষে ৫ এপ্রিল পুলিশ মামলা নিতে বাধ্য হয়। ঘটনাঠি নিয়ে এলাকার সর্বত্র আলাপ-আলোচনার ঝড় বইছে।

Exit mobile version