আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ- মিশরের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির অভ্যুত্থান বিরোধী জোট। ইখওয়ানুল মুসলিমিনের নেতৃত্বে গঠিত জোট বলেছে, মিশরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদে তারা নির্বাচন বয়কট করবেন।অভ্যুত্থান বিরোধী জোটের মুখপাত্র মাগদি কোরকোর আসন্ন নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘একটি অবৈধ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়’ এ নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে বলে তাতে অংশ নেবেন না তারা। ৩ জুলাই’র সামরিক অভ্যুত্থানের ওপর পাতানো একটি বেআইনি ভিত্তির উপর ভর করে এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ২০১৩ সালের ৩ জুলাই মিশরের সেনাপ্রধান জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি তৎকালীন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে কারাগারে নিক্ষেপ করেন। পাশ্চাত্যের সমর্থনপুষ্ট একদল মানুষের সরকার বিরোধী আন্দোলনকে পুঁজি করে ওই অভ্যুত্থান নাটক সাজানো হয়। সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানা গেছে, মিশরে আবার সেক্যুলার সরকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মার্কিন সরকার ওই আন্দোলনের নেতাদের কোটি কোটি ডলার সাহায্য দিয়েছিল। গত ৩০ মার্চ মিশরের নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, আগামী ২৬ ও ২৭ মে দেশটিতে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে ৫ জুনের মধ্যে। গত বছরের সেনা অভ্যুত্থানের নায়ক জেনারেল সিসি এ নির্বাচনে প্রধান প্রার্থী থাকবেন এবং তাকে বিজয়ী করার সব বন্দোবস্ত পাকা করেছে কায়রো সরকার। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মিশর আবার সেনাশাসিত সেক্যুলার শাসনব্যবস্থায় ফিরে যাচ্ছে; তবে এবার লোকদেখানো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সে ব্যবস্থা সম্পন্ন হবে। খবর-রেডিও তেহরান।