নারীদের উগ্র পোশাক ধর্ষণ উৎসাহিত করে

জি নিউজ ডেস্ক:- নারীদের উগ্র পোশাক ধর্ষণ উৎসাহিত করে। এমনটা মনে করেন সাম্বা নাচের দেশ ব্রাজিলের বেশির ভাগ মানুষ। যে ব্রাজিল স্বল্প পোশাকে নারীদের সাম্বা নাচের জন্য বিখ্যাত, যেখানে সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরা নারীদের প্রাধান্য, নারীরা শরীর দেখাতে ভালবাসেন সেখানকার মানুষের এই অনুভূতির কথা নতুন। এর আগে তাদের এমন মানসিকতার কথা জানা যায় নি। নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে। এতে বলা হয়, ওই জরিপ পরিচালনা করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লাইড ইকোনমিক রিসার্স (আইপিইএ)। এতে দেখা গেছে, ব্রাজিলের শতকরা ৬৫ ভাগ মানুষ এ বিষয়ে একমত যে, নারীরা শরীর দেখানো পোশাক পরে ধর্ষণকে উৎসাহিত করছেন। এই জরিপে শতকরা ৫৮ ভাগ মানুষ বলেছেন, যদি নারীরা কিভাবে আচরণ করতে হবে তা জানতেন তাহলে অনেক কম ধর্ষণ হতো। গত বছর মে থেকে জুন মাসের মধ্যে ৩৮১০ জন নারী ও পুরুষের ওপর এই জরিপ চালানো হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগই নারী। এ জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শতকরা ৯১ ভাগ বলেছেন, যে ব্যক্তি স্ত্রীকে প্রহার করে তার জেল হওয়া উচিত। তবে এর বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন শতকরা ৮২ ভাগ। তারা বলেছেন, যে নারীকে প্রহার করা হয় তাকে শান্ত থাকতে হয়, যাতে ছেলেমেয়েদের কোন ক্ষতি না হয়। ব্রাজিলের পত্রিকা ফোলহা ডি এস. পাউলো’তে জরিপের এ ফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখানো হয়েছে, যৌন সহিংসতার জন্য বেশির ভাগ মানুষ দায়ী করছেন নারীদের। তারা বলছেন, নারীরা প্রলুব্ধ করার মতো পোশাক পরেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীরা নারীর ওপর শারীরিক নির্যাতন কোনমতেই সহ্য করেন না। ব্রাজিলের সাও পাওলোতে সেক্সুয়ালিটি স্টাডিজে প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী কারমিতা আবদো বলেছেন, নারীরা যে পোশাক পরেন তার জন্য তারা যৌন নির্যাতন বা ধর্ষিত হন। যাদের মনে হয়রানি বা ধর্ষণের খায়েশ থাকে তারাই এসব ঘটিয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, নির্যাতিতকে ব্রাজিলের সমাজ দোষারোপ করে। তাই এ জরিপে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। এ জরিপের ফল নিয়ে ব্রাজিলে নারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। এমনকি কোন কোন পুরুষও এ জরিপের সমালোচনা করছেন সামাজিক মিডিয়ায়। এমন জরিপের সমালোচনা করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রুশেফও। তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের এই জরিপে দেখা যাচ্ছে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের লড়াইয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে সমাজকে। এমন জরিপের বিরোধিতা করেছেন ব্রাজিলের সাংবাদিক নানা কুইরোজ। তিনি এ বিষয়ে অনলাইনে প্রতিবাদ জানানোর জন্য একটি ওয়েব পেইজ খুলেছেন। তাতে অন্য নারীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন টপলেস বা নগ্নবক্ষে ছবি তুলে তা পোস্ট করতে। সূত্র-ইন্টারনেট।

Exit mobile version