কঙ্গোয় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত শতাধিক ব্যক্তির লাশ গণকবরেঃরেড ক্রস

rt kongআন্তর্জাতিক ডেস্কঃ- আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় গত ২২ এপ্রিল এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় ১০০ থেকে ২০০ মানুষ নিহত হয়েছে বলে দেশটির রেডক্রস জানিয়েছে। এসব হতভাগ্য মানুষকে গণকবরে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। কঙ্গোর রেডক্রসের এ বিলম্বিত ঘোষণার ফলে এর আগে দেশটির সরকার ওই দুর্ঘটনায় ৭৪ জন নিহত হয়েছে বলে যে দাবি করেছিল তা মারাত্মক প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় মালবাহী ট্রেনটিতে অবৈধভাবে শত শত যাত্রী ভ্রমণ করছিল। একটি দূরবর্তী বিশাল জলাভূমির ভেতর স্থাপিত লাইনের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে। এ অবস্থায় কিছু যাত্রী তাৎক্ষণিকভাবে মারা যায় এবং বাকিরা দিনের পর দিন বিধ্বস্ত বগিগুলোর মধ্যে আহত অবস্থায় আটকে থাকার পর মারা যায়। মালবাহী কন্টেইনার বাইরে থেকে আটকা থাকায় এগুলোর ভেতরে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। প্রত্যন্ত এলাকাটিতে বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় এসব মানুষকে উদ্ধারের জন্য কোনো ধরনের ভারী উদ্ধার সামগ্রী নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। রেড ক্রসের স্থানীয় প্রধান বোন্ডো মিটোঙ্গা টেলিফোনে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, “তাদেরকে গণকবর দেয়া ছাড়া আমাদের অন্য কোনো উপায় ছিল না। আমরা অন্তত সাতটি বড় কবর খুঁড়েছিলাম। প্রতিটি কবরে ১৫ থেকে ৩০ জনকে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।” কঙ্গোর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কাটাঙ্গা প্রদেশে ওই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন মিটোঙ্গা। তিনি বলেন, তার পক্ষে নিহতদের সংখ্যা সম্পর্কে এর চেয়ে সূক্ষ্ম হিসাব দেয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার সাতদিন পর এখনো নয়টি বগি পুরোপুরি খালি করা সম্ভব হয়নি। এসব বগির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ আসছে; ফলে এগুলোর ভেতর আরো লাশ থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে কোনো মর্গ না থাকায় লাশ উদ্ধার করেই মাটিচাপা দেয়া হচ্ছিল এবং সব লাশ একসঙ্গে উদ্ধার করতে না পারায় এগুলোর সংখ্যা নিয়ে এ বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৭৪ জন নিহত ও ১৬৩ জনের আহত হওয়ার খবর দেয়া হয়েছিল। খবর-রেডিও তেহরান এর, একজন সরকারি মুখপাত্র এর চেয়ে বেশি মানুষের নিহত হওয়ার খবর অস্বীকার করে বলেছেন, ‘স্বার্থ হাসিলের’ জন্য কেউ কেউ নিহত মানুষের সংখ্যা বাড়িয়ে বলছে।

Exit mobile version