আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ- ভারতের অসম রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর বোড়ো জঙ্গিদের নৃশংস হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার রাতভর তল্লাশি চালিয়ে বাকসা জেলার খাগড়াবাড়ি গ্রাম থেকে পাঁচ শিশু ও দুই নারীসহ ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গতবৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কোকড়াঝাড় ও বাকসা জেলায় কয়েকটি বাড়িতে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ ২৩ বাংলাভাষী মুসলমানকে হত্যা করে নিষিদ্ধঘোষিত ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অব বোড়োল্যান্ডের সন্ত্রাসীরা। এছাড়া, বাকসা জেলায় মানস জাতীয় উদ্যানের কাছে বেকি নদীর তীর ঘেঁষা মুসলিম সম্প্রদায়ের কমপক্ষে ৭০টি ঘরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে উগ্রপন্থীরা। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাকসা থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে কোকড়াঝাড় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বকসা, কোকড়াঝাড়সহ অসমের তিন রাজ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে সান্ধ্য আইন। তবে, সেনা মোতায়েনের পরও মুসলমানদের ওপর হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। গুরুতর আহত অবস্থায় ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আবারো জঙ্গি হামলার আতঙ্কে এরইমধ্যে এক হাজারেরও বেশি মুসলমান বোড়োল্যান্ড ছেড়ে ধুবড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আবসু, আমসু, এবিআমসু-সহ অসমের বিভিন্ন দল ও সংগঠন। আমসুর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বোড়োল্যান্ড ও সংখ্যালঘুর নিরাপত্তার প্রতি সরকারি উদাসীনতার কারণেই এই ঘটনা ঘটল। ঘটনার নৈতিক দায় নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ’র পদত্যাগ দাবি করেন এবিআমসু’র নেতা লাসিকুল ইসলাম। এদিকে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছেন। এ প্রতিবেদনটি রেডিও তেহরান এর, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবার ও আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে।