১,সবল চুল-মাসে দুইবার মেহেদি ব্যবহার করে পেতে পারেন সবল, ঝলমলে ও লম্বা চুল। এটি চুলের ক্ষতিগ্রস্ত অংশকে হারানো স্বাস্থ্য ফেরাতে সাহায্য করে। মাথার তালুতে অ্যাসিড-আলকালাইনের ভারসাম্য পুনরায় প্রতিষ্ঠা করে। আমলকি মেশানো পানিতে দুইঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে মেহেদি পিষে নিন। এবার মাথার তালুসহ চুলে লাগান। ভালো ফল পাবেন।
২,কন্ডিশনার হিসেবে মেহেদি-চুলে শ্যাম্পু করার পর মেহেদি ব্যবহার করতে পারেন। মেহেদি একটি ভালো কন্ডিশনার। যা কেমিক্যালভিত্তিক কন্ডিশনার থেকে ভালো ফল দেয়। এটি চুল ভেঙ্গে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে একটি প্রতিরোধক স্তর তৈরি করে। নিয়মিত ব্যবহারে চুল পুরু হয় এবং অতিপ্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ধরে রাখে। আনে প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য ও চুলকে করে দ্বিগুণ শক্তিশালী।
৩,চুল রাঙ্গাতে-আপনি যদি ক্ষতি ছাড়াই চুল রাঙ্গাতে চান তবে মেহেদির বিকল্প নেই। অন্যান্য কেমিক্যালভিত্তিক হেয়ার কালার চুলের ক্ষতি করে। মেহেদিতে নেই ক্ষতিকারক অ্যামাইনো অ্যাসিড। কেমিক্যালভিত্তিক হেয়ার কালারে ব্যবহৃত উপাদানের কারণে চুল পর্যাপ্ত আর্দ্রতা হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে। দুই টেবিল চামচ শুকনো আমলকি, এক চা চামচ ব্ল্যাক টি ও দুটি লবঙ্গ পরিমাণ মতো পানিতে মিশিয়ে সিদ্ধ করুন। পানিটি ভালো করে ঘুটে নিন। এর সঙ্গে মেহেদি মিশিয়ে একটি পুরু মিশ্রণ তৈরি করুন। সারারাত অথবা কমপক্ষে দুইঘণ্টা রেখে দিন। এবার চুলে লাগান।
৪,খুশকি দূরীকরণ-মেহেদি কার্যকর খুশকিরোধক হিসেবে পরিচিত। দুই চা চামচ মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে পিষে নিন। এবার সামান্য সরিষার তেল গরম করুন। সঙ্গে কয়েকটি মেহেদি পাতা দিন। তারপর তেল ঠাণ্ডা করে এর সঙ্গে মেথি পেস্ট মিশিয়ে নিন। পেস্টটি শ্যাম্পু করার আগে মাথার তালুতে লাগান। সূত্র-ইন্টারনেট