ধর্ষণ থেকে বাঁচতে ‘আত্মরক্ষার কৌশল’ শেখার পরামর্শ

অনলাইন ডেস্কঃ-‘মিস ইউএসএ’ খেতাবজয়ী নিয়া সানচেজ মনে করেন, ধর্ষণ থেকে বাঁচতে মেয়েদের আত্মরক্ষায় সক্ষম হতে হবে এবং সেভাবেই গড়ে তুলতে হবে নিজেদের৷ হবে না? ২৪ বছর বয়সি এই মার্কিন সুন্দরী যে মার্শাল আর্টে বিশেষ পারদর্শী! মার্কিন সময় রবিবার রাতে সানচেজকে ‘মিস ইউএসএ’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়৷ আরো ৫০ জন প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে খেতাব জয় করে নেন পেশায় তায়কন্দ প্রশিক্ষক, নেভাদার এই বাসিন্দা৷ বিজয়ী ঘোষণার জমকালো সেই অনুষ্ঠানে তাঁর কাছে ধর্ষণ থেকে রক্ষার উপায় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল৷যিনি জানতে চেয়েছিলেন, মানে প্রতিযোগিতার বিচারক রুমার উইলস নিজেও বেশ বিখ্যাত৷ ২৫ বছর বয়সি নিয়া বলিউড অভিনেতা ব্রুস উইলিস এবং ডেমি মুরের মেয়ে৷ প্রশ্নের শুরুতে তিনি বলেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘আন্ডারগ্রাজুয়েট’ ১৯ শতাংশ মেয়ে যৌন আক্রমণের শিকার হয়৷” পরে ‘ক্যাম্পাস ধর্ষণ’ রোধে করণীয় কী? – সে সম্পর্কে জানতে চাইলে সানচেজ জবাবে নারীদের আত্মরক্ষার কৌশল রপ্ত করার দিকে জোর দেননিয়া নিজে কোরিয়ান মার্শাল আর্ট ‘টেকভন্ডো’ শিখেছেন সেই ছোটবেলা থেকেব্রুস লির মতো তিনিও অনায়াশে ইট বা টেবিল ভেঙে ফেলতে পারেন৷ চাইলে সহজেই জব্দ করতে পারেন কোনো শক্তিশালী পুরুষকে৷ তাই তিনি মনে করেন, প্রতিরোধের সঠিক উপায় নারীদেরই খুঁজে নিতে হবে৷ তবে পাশাপাশি এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির দিকেও গুরুত্বারোপ করেন তিনি৷ বলেন, নিজের ছোটবেলার কথা৷ বাবা-মা আলাদা হয়ে যাওয়ার কিভাবে নিজেকে তিনি তৈরি করেছেন, সেই সব গল্প৷যুক্তরাষ্ট্রের লুসিয়ানা রাজ্যের রাজধানী ব্যাটন রুজে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়৷ অনুষ্ঠানে সানচেজকে ৬৩তম ‘মিস ইউএসএ’ ক্রাউন পরিয়ে দেন গত বছরের খেতাব জয়ী এরিন ব্র্যাডি৷ চলতি বছর অনুষ্ঠিতব্য ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করবেন নিয়া সানচেজ৷প্রসঙ্গত, আরেক মার্কিন সুন্দরী ভ্যালেরি গাটো গত সপ্তাহে এক তথ্য প্রকাশ করে গণমাধ্যমে আলোড়ন তোলেন৷ তিনি নিজেকে ‘ধর্ষণের ফসল’ হিসেবে আখ্যা দেন৷ গাটো বলেন, ‘‘১৯ বছর বয়সে তাঁর মা পিটসবুর্গে ধর্ষণের শিকার হন৷” তবে এই ঘটনা তাঁর জীবনের কোনো গতিপথ নির্ধারণ করে দেয়নি বলেও জানান ভ্যালেরি গাটো৷উল্লেখ্য, বিশ্বের বহু দেশেই ধর্ষণ এখন একটা বড় সমস্যা৷ সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে প্রতি ২২ মিনিটে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে৷ তবে অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন। প্রতিবেদনটি ডি ডাব্লিউ এর,এই সংখ্যা সঠিক নয়৷ কেননা ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মানুষের এই দেশে অনেক ধর্ষণের ঘটনাই পুলিশের কাছে রিপোর্ট করা হয় না৷ জানাজানি হলে ধর্ষিতা সামাজিকভাবে হেয় হবেন, এই শঙ্কায় অনেকেই বিষয়টি চেপে যান৷

Exit mobile version